১. পানি সমৃদ্ধ ফল
তরমুজ, স্ট্রবেরি, ক্যান্টালুপ এবং কমলার মতো ফলে পানির পরিমাণ বেশি, যা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এ ধরনের ফল প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে করে। স্ন্যাকস হিসাবে এই ফল খেতে পারেন বা স্মুদি কিংবা সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন।
২. সবুজ শাক
গবেষণায় দেখা গেছে, পালং শাক, লেটুস এবং এজাতীয় মতো শাক শুধু হাইড্রেটিংই নয়, ম্যাগনেসিয়ামেও সমৃদ্ধ। ম্যাগনেসিয়াম শরীরের তাপমাত্রা এবং পেশী ফাংশন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে, এটি তাপ সংক্রান্ত অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি তৈরি করে।
৩. শসা
শসা হলো আরেকটি পানিসমৃদ্ধ সবজি যা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে, এটি আপনার শরীরের প্রাকৃতিক শীতল প্রক্রিয়া বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪. ডাবের পানি
ডাবের পানি হলো একটি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট-সমৃদ্ধ পানীয়। WebMD বলে যে, এটি ঘামের মাধ্যমে হারিয়ে ফেলা তরল এবং খনিজ পূরণ করতে সাহায্য করে। এটি চিনিযুক্ত স্পোর্টস ড্রিংকের একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। গরম আবহাওয়াতে আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে ডাবের পানি।
৫. দই
দই প্রোবায়োটিকের একটি ভালো উৎস, যা ভালো হজমে সাহায্য করে। একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্র পুষ্টির শোষণকে উন্নত করতে এবং সামগ্রিক সুস্থতায় কাজ করে। যা গরম আবহাওয়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ, যখন কিনা আমাদের শরীর অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকে।
৬. পুদিনা
পুদিনা পাতা শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতা দিয়ে সতেজ পানীয় তৈরি করে পান করতে পারেন। সেজন্য আপনার খাওয়ার পানি বা চায়ে তাজা পুদিনা পাতা যোগ করুন, অথবা সালাদ এবং ডেজার্টেও ব্যবহার করতে পারেন।
৭. টমেটো
টমেটো লাইকোপেন সমৃদ্ধ, এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। টমেটোতে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা হাইড্রেশন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে।
৮. কলা
কলা পটাসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস, এটি একটি ইলেক্ট্রোলাইট যা শরীরে তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কলা খেলে তা ঘামের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া পটাসিয়ামের মাত্রা পূরণ করতে সাহায্য করে।
খেয়াল রাখুন
এই খাবারগুরোকে আপনার ডায়েটে যোগ করার পাশাপাশি সারাদিন প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকতে ভুলবেন না। অতিরিক্ত অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করতে পারে। হালকা ওজনের, স্বস্তিদায়ক পোশাক পরুন এবং দিনের সবচেয়ে গরম সময়ে পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলুন। এভাবে নিয়ম মেনে চললে তা হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য