মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী: তীব্র শীতের সাথে হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর উপকূলীয় জনপদ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে জনপদ থেকে জনপদ। বেলা বারোটায়ও দেখা মেরেনি সূর্যের।
হাড় কাপানো শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে রয়েছে চরাঞ্চলে বসবাসকারীরা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। জেলার হাসপাতালগুলো বেড়েছে শীত জনিত শিশু রোগীর সংখ্যা। রাস্তায় চলাচল কমে গেছে মানুষের।
আজ শনিবার সকাল নয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১২.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। এসময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ছিল ৯৩ শতাংশ।
কলাপাড়া পৌরশহরের কুমারপট্টি এলাকার বাসিন্দা নাইমুর রহমান বলেন, টানা পাঁচদিন চলা তীব্র শীতের সাথে হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হয়ে পড়েছে।
ঘাট শ্রমিক সোবাহান বলেন, পেটের টানে কাজ করতে হচ্ছে। ভোগান্তির শেষ নেই। কতক্ষন কাজ করি, যখন টিকতে না পারি তখন আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাপ দেই।
মাদ্রাসা রোড়ের বাসিন্দা নুর জাহান বেগম বলেন, শীতে দৈনন্দিন কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাচ্চাদের নিয়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিন্ময় হাওলাদার বলেন, শীতের প্রকোপের কারণে বেড়ে গেছে শীত জনিত রোগের প্রার্দুভাব। প্রতিদিন হাসাপাতালে এসব উপসর্গ নিয়ে বর্হি বিভাগ, জরুরী বিভাগে আসছে অসংখ্য রোগী। হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে। আগত রোগীদের নিবিরভাবে পরিচর্য়া দেয়া হচ্ছে।