ইলাত বন্দরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং রাজস্ব কমে যাওয়া বাধ্য হয়ে তারা বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “আমাদের স্বীকার করতে হবে এই বন্দরটি এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। গত কয়েক মাসে এখানে মাত্র একটি জাহাজ এসেছে। ইয়েমেনিরা এই বন্দরটিকে কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে।”
বন্দরটির কার্যক্রম সচল রাখতে এই মাসের শুরুতে ইসরায়েলি সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছিল ইলাত বন্দর কর্তৃপক্ষ
বন্দরের এই কর্মকর্তা গত বছরের ডিসেম্বরে জানান, লোহিত সাগরে হুথিদের কারণে তাদের কার্যক্রম ৮৫ শতাংশ কমে গেছে। ওই সময় তিনি আরও জানান, এটি সচল রাখতে তাদের হয়ত অনেক কর্মীকে ছাঁটাই করতে হবে।
ইলাত বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার মধ্যেই শঙ্কায় রয়েছে আশোদ এবং হাইফা বন্দর। যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে এ বন্দরগুলো শঙ্কায় পড়বে। কারণ এগুলো হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে রয়েছে।
আর হিজবুল্লাহ যদি এসব বন্দরে হামলা চালিয়ে এগুলো অকার্যকর করে দেয় তাহলে বেকায়দায় পড়বে দখলদার ইসরায়েল। কারণ নিজেদের আমদানি ও রপ্তানির জন্য এসব বন্দরের উপরই নির্ভরশীল তারা।
সূত্র: মিডেল ইস্ট মনিটর