শিরোনাম

১০০ যুদ্ধবিমানের গর্জন, তিন পর্যায়ে ইরানি সেনাছাউনিতে আছড়ে পড়ে ইজ়রায়েলি আক্রমণ

Views: 24

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। অবশেষে শিয়া মুলুক ইরানের উপর প্রত্যাঘাত হানল ইহুদি রাষ্ট্র ইজ়রায়েল। পারস্য উপসাগরের তীরে কী ভাবে হয়েছে সেই হামলা? বিশ্ব জুড়ে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে আমেরিকা। তবে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) এই পদক্ষেপ পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিকে যে জটিল করল, তা বলাই বাহুল্য।

সূত্রের খবর, শিয়া দেশে আঘাত হানতে অন্তত ১০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে ইহুদি সেনা। যার মধ্যে বড় সংখ্যায় ছিল আমেরিকার তৈরি মাটির লক্ষ্যবস্তুতে হামলার উপযোগী এফ-১৫আই র‌্যাম ‘গ্রাউন্ড অ্যাটাক জেট’। এ ছাড়া পঞ্চম প্রজন্মের ‘এফ-৩৫ লাইটনিং-২’ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে ইজ়রায়েল। এক আসন ও এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট এই যুদ্ধবিমানগুলির নির্মাণকারী সংস্থা হল ‘লকহিড মার্টিন’। শব্দের থেকে দ্রুত গতিতে ছোটার ক্ষমতা রয়েছে এফ ৩৫-এর। ‘স্টেলথ’ ক্যাটাগরির হওয়ায় এগুলি রাডারে প্রায় ধরা পড়ে না বললেই চলে।

ইজ়রায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, মোট তিনটি পর্যায়ে ইরানের ‘ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস’-কে (আইআরজিসি) নিশানা করেছে ইহুদি বায়ুসেনা। প্রথমে শিয়া দেশটির ‘বায়ু সুরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংসের লক্ষ্য ছিল আইডিএফ-এর। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়, ‘অনুতাপের অভিযানের দিন’ (অপারেশন ডেজ় অফ রিপেনট্যান্স)।

শনিবার, ২৬ অক্টোবর ভোর ৪টে নাগাদ পারস্য উপসাগরের তীরে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে ইহুদিদের যুদ্ধবিমান। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমে ইরানের রাজধানী তেহরান এবং তার অদূরের কারাজ় শহরকে নিশানা করে ইজ়রায়েলের বায়ুসেনা। যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমাবর্ষণ করায় রীতিমতো কেঁপে ওঠে ওই দুই এলাকা। হামলায় ‘এফ-১৬আই সুফা’ এয়ার ডিফেন্স জেট ও হানাদার ‘হেরন’ ড্রোনের নতুন সংস্করণও ব্যবহার করা হয়।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *