শিরোনাম

পটুয়াখালী পৌর কর্তৃপক্ষের ১০ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া

Views: 44

বরিশাল অফিস :: প্রায় দশ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পরিশোধ করছে না পটুয়াখালী পৌর কর্তৃপক্ষ। যদিও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) থেকে জানানো হয়েছে প্রতি মাসে পৌরসভায় চিঠি পাঠালেও পুরো টাকা পরিশোধের উদ্যোগ নেয়নি মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, পৌরভবন, কমিউনিটি হল, পানির পাম্প ও পৌর এলাকার রাস্তাসহ প্রায় ৩২টি হিসাবের বিপরীতে পৌরসভা এ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। গত সাড়ে চার বছর ধরে পটুয়াখালী পৌরসভায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এর আগে বিভিন্ন মাসে পৌর কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল দিলেও বেশিরভাগ মাসেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে না।

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বাতি জ্বালিয়ে রাখছে পৌর কর্তৃপক্ষ। শুধু সড়ক বাতি নয় সার্কিট হাউজ থেকে কলাতলা পানির ট্যাংকি পর্যন্ত ফোর লেনের সড়কটিকে রঙ-বেরঙের বাতি জ্বালিয়ে আলোকসজ্জার কাজ করা হয়েছে। এমন দৃশ্য দেখে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে বাসিন্দাদের মনে।

পটুয়াখালী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দীন মোহাম্মদ মহিম জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই পৌরসভার কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। যা এখন প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদকে বারবার জানানো হয়েছে। তবে ২০২৩ সালের জুন থেকে মাসের বিল মাসে দিলেও, এখনও বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সভায় পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সভায় উপস্থাপন করা হলে বিষয়টি জেনে জেলা প্রশাসক মহোদয়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বর্তমানে পৌরসভা নির্বাচন চলমান থাকায় বিষয়টি নির্বাচনের পর দেখার ব্যাপারে আলোচনা হয়। নির্বাচনের পর যদি পৌর কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করে তখন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানানো হয়।

পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজ উদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘এটি যেহেতু বড় বিষয় সেহেতু মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করলে ভালো হয়।’

তবে এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *