বরিশাল অফিস :: ভোলার অনেক দুর্গম চরে ভোটকেন্দ্র না থাকায় জেলার প্রায় ৫০ হাজার ভোটারকে ভোগান্তি পোহাতে হবে। ভোট দিতে অনেককে পাড়ি দিতে হবে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার নদীপথ। তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে থাকবে নৌযানের ব্যবস্থা। ভোটারদের নিরাপত্তায় থাকবে কোস্ট গার্ড। প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে জমজমাট ভোটের আশা ভোলাবাসীর।
দ্বীপজেলা ভোলার ৭১টি ইউনিয়নের ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে মধ্য মেঘনা ও সাগরের বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে। এসব ইউনিয়নে ভোটার আছে ১ লাখেরও বেশি। কেন্দ্র আছে ২৬টি। এতে ভোট দিতে পারবেন ৬০ হাজার ৩০৪ জন। বাকিদের ভোট দিতে হবে নদী পেরিয়ে মূল ভূখণ্ডে অর্থাৎ উপজেলা সদরে গিয়ে।
বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন হাজীপুরে ভোটকেন্দ্র নেই। ভোটারদের নদী পেরিয়ে যেতে হবে দৌলতখান সদরে। এ ছাড়া তজুমদ্দিনের চাঁদপুর ইউনিয়নের চর মোজাম্মেল, চর নাসরিন ও চর ফারজানার প্রায় ১০ হাজার ভোটারকেও ভোট দিতে হবে উপজেলা সদরে গিয়ে।
চরের উন্নয়নের স্বার্থে এমন কষ্ট মেনে নিয়েও ভোট দিতে আগ্রহী চরের মানুষ। রিটার্নিং কর্মকর্তারও আশা, যথেষ্ট ভোটার উপস্থিতির।
ভোলার রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেছেন, শীত মৌসুম হওয়ায় নদী শান্ত। তা ছাড়া ভোটারদের নদীতে চলার অভ্যাস আছে। দূরে হলেও ভোট দিতে সমস্যা হবে না।
স্থানীয় এক ভোটার বলছেন, নৌকা করে তজুমদ্দিন গিয়ে ভোট দিয়ে আবার চরে ফিরে আসবেন।
আরেক ভোটার বলেছেন তাদের চরের উন্নয়নের কথা। বিদ্যুৎ পাওয়াতে লাভবান হচ্ছেন তারা।
ভোলা-৩ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন জানান, মানুষের সুবিধার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে ভোটের দিন নৌ-যানের ব্যবস্থা রাখা হবে। তিনি আরও বলেছেন, চরের ভোটারদের মূল ভূখণ্ডে নেওয়ার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান নৌকার ব্যবস্থা করবে। ভোটাররা ওই নৌকায় করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আবার বাড়ি ফিরবেন।
দুর্গম চরাঞ্চল থেকে কেন্দ্রগুলোতে আসা-যাওয়ায় ভোটারদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, বিক্ষিপ্ত চরাঞ্চল থেকে মূল ভূখণ্ডে যারা এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে তাদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কোস্টগার্ড বিভিন্ন নৌ-যান নিয়ে নদীতে সার্বক্ষণিক অবস্থান করবে।
ভোলার ৪টি আসনে মোট ভোটার ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫২ জন।