চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। পাচারকারীর তালিকায় রয়েছেন হেভিওয়েট রাজনীতিক ও আওয়ামীঘেঁষা ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতিবছর ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার অর্থ পাচার হচ্ছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারের পতনের পর বিদেশে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। বর্তমানে সিআইডি ১৭ ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাচারের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি পাঠিয়েছে ব্যাংক হিসাবের তথ্যের জন্য। সিআইডি প্রধান মো. মতিউর রহমান শেখ জানিয়েছেন, অনুসন্ধান মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থ পাচারের অভিযোগে সিআইডির অনুসন্ধানের মধ্যে রয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান, এস আলম গ্রুপের মো. সাইফুল আলম, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, এবং অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলার সংকট, অর্থনৈতিক সংকট এবং মূল্যস্ফীতি সহ নানা কারণে দেশে অর্থ পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। সিআইডির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার পর দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।