চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে তিনটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব গণকবরে ৩৯২টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে খান ইউনিসের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়ে অধিদফতরটির প্রধান আবু সুলাইমান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা গাজায় অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধে ইসরাইলের প্রতি চাপ দেন।
আবু সুলাইমান জানিয়েছেন, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের পাশে গণকবর তিনটির সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি এ হাসপাতাল মর্গের পেছনে, আরেকটি সামনে এবং অপরটি ডায়ালাইসিস ভবনের কাছে।
গণকবরে পাওয়া লাশগুলোর মধ্যে মাত্র ৬৫টি তাদের স্বজনরা শনাক্ত করতে পেরেছেন। অনেক লাশ বিকৃত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, গণকবরে লাশগুলো একসাথে স্তুপীকৃত অবস্থায় ছিল এবং লাশগুলোতে মাঠ পর্যায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং জীবন্ত কবরস্থ করার নমুনা রয়েছে।
২০টি লাশ জীবন্ত কবরস্থ করা হয়েছে
গণকবরে পাওয়া লাশগুলোর অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত কবরস্থ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি বেসামরিক প্রতিরক্ষার সদস্য মোহাম্মদ মুগির। তিনি বলেন, তাদের অনেকের হাত বাঁধা ছিল এবং কয়েকজনের সাথে মেডিক্যাল টিউব লাগানো ছিল।
‘আমরা এমন অন্তত ২০টি লাশের ফরেনসিক পরীক্ষা করব বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য,’ বলেন তিনি।
গণকবরে শিশুর লাশ
মোহাম্মদ মুগির বলেন, নাসের হাসপাতালের গণকবরে পাওয়া লাশগুলোর মধ্যে শিশুদের লাশও ছিল। তিনি এর পক্ষে ফটোগ্রাফ ও ভিডিও তথ্য সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন।
এসব তথ্যপ্রমাণ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাই প্রমাণ করে যে ইসরাইলি বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে।’
সূত্র : আলজাজিরা