ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সহায়তা ছাড়াই রাশিয়া চাঁদে অবতরণযোগ্য একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই অভিযান পরিচালনা করবে মহাকাশযানটি। এর মাধ্যমে সেখানে পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হবে দেশটি। এই অংশে বরফ ও পানি রয়েছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর-আল-জাজিরা।
রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থার প্রধান ইউরি বরিসভ জানান, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ১০ মিনিটে রাশিয়ার ভস্তোচনি কজমোড্রোম মহাকাশকেন্দ্র থেকে লুনা-২৫ মহাকাশযানকে বহনকারী একটি রকেট চাঁদের উদ্দেশে রওনা হয়। ২১ আগস্ট মহাকাশযানটির চাঁদে অবতরণের কথা।
মহাকাশযানটি প্রায় এক বছর ধরে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণা চালাবে। এই অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাসা ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থা বরফ পানির উৎস খুঁজে পেয়েছেন।
গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে এটিই হবে রাশিয়ায় প্রথম চন্দ্র অভিযান। এর আগে ১৯৭৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে চাঁদে প্রথমবারের মতো মহাকাশযান পাঠিয়েছিল রাশিয়া। আর গত মাসে ভারত চন্দ্রযান-৩ অভিযান শুরু করে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এবার ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কোনো সহযোগিতা নেয়নি রাশিয়া। রাশিয়া বলছে, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির সহযোগিতা ছাড়াই তারা মহাকাশযান পাঠাতে সক্ষম। ছোট একটি গাড়ির আকারের মহাকাশযানটির ওজন প্রায় ৮০০ কেজি।