শিরোনাম

৫৫ বছরের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা

Views: 38

বরিশাল অফিস :: দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবন এখন অনেকটাই জরাজীর্ণ। প্রায় ৫৫ বছর আগে নির্মিত ভবনটি এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারপরও নতুন ভবন না হওয়ায় পুরোনো ভবনেই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ রোগী ও তাদের স্বজনরা। ৫৫ বছর আগে নির্মিত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় নতুন ভবন তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে ২০ তলা ভবন নির্মাণের একটি প্রস্তাব। এটি বাস্তবে রূপ পেলে একসঙ্গে ৩০ হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ষাটের দশকের শুরুতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হলেও হাসপাতালটি চালু হয় ১৯৬৮ সালে। পাঁচ তলা এ ভবনে প্রথমে আড়াইশ শয্যা, পরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াই ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সবশেষ ভবনটি ১ হাজার শয্যায় উন্নীত হয়েছে। ৫৫ বছরে ভবনটিতে কিছু মেরামতকাজ হলেও পানি, বিদ্যুৎ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিভাগের ৬ জেলা ও উপজেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। তবে হাসপাতালের এমন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। তাই অচিরেই হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর। এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মোখলেসুর রহমান বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের গায়ে পলেস্তারা খসে পড়ছে। চিকিৎসার কোনো পরিবেশ এখানে নেই।

হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাকালীন ডেন্টাল বিভাগের প্রধান ডা. সৈয়দ হাবিবুর রহমান বলেন, শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এর নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতকাজে সন্তুষ্টি পাইনি। ফলে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে নতুন ভবনের একান্তই দরকার হয়ে পড়েছে।

পুরোনো ভবনটি মেরামত করেও আর টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ২০ তলা নতুন ভবনের মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। বরিশালের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আলম বলেন, ‘আমরা পুরোনো ভবনের আদল ঠিক রেখে ২০ তলা নতুন ভবনের প্রস্তাব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে অনুমোদন পেয়ে অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রেখেছি।

হাসপাতাল পরিচালক এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, যে মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বরিশাল হবে অগ্রদূত।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *