শিরোনাম

৫ অভ্যাস বাড়ায় কঠিন রোগের ঝুঁকি

Views: 41

দৈনন্দিন জীবনের ধারাবাহিক অনিয়ম কানুন মেনে চলার ওপর মানুষের সুস্থতা অনেকটা নির্ভর করে। শরীরের প্রতি অযত্ন থেকেই জন্ম নেয় রোগবালাই। তাই সুস্থ থাকতে কয়েকটি নিয়মে জীবনকে বাঁধা জরুরি। ব্যস্ততম জীবনে সব নিয়ম সব সময় মানা সম্ভব হয় না। তবে একেবারে সাধারণ কিছু অভ্যাসে নিজেকে অভ্যস্ত না করালে বিপদ হতে পারে।

যে অভ্যাসগুলো মারাত্মক কিছু রোগ ডেকে আনতে পারে?

পানি কম খাওয়া

কাজের চাপে পানি খাওয়ার কথা মনেই থাকে না অনেকেরই। কিছুক্ষণ অন্তর পানি খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয় না। কিন্তু নিয়ম মেনে পানি খাচ্ছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম। সুস্থ থাকতে পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। পানির অভাবে কঠিন রোগ হওয়ারও ঝুঁকি থেকে যায়। নিজেকে সুস্থ রাখতে তাই বেশি করে পানি খাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

কম ঘুমানো

নিজেকে সুস্থ রাখার আরও একটি ধাপ হলো বেশি করে ঘুমানো। দৌড়ঝাঁপের জীবনে ঘুমই সবচেয়ে কম হয়। কাজের চাপ তো আছেই, সেই সঙ্গে মানসিক অস্থিরতাও ঘুম কম হওয়ার কারণ। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের ঘাটতি অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে রক্তচাপের মাত্রা ঠিক রাখা, সবই সম্ভব যদি ঘুম ঠিকঠাক হয়।

রাত করে খাবার খাওয়া

সুস্থ থাকতে চিকিৎসকেরা রাত আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে বলেন। এতে হজমও ভালো হয়। গ্যাস-অম্বলের কোনো ভয় থাকে না। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে পারলে তার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু সবার পক্ষে তা সম্ভব হয় না। অনেকেরই বাড়ি ফিরতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। রাতের খাবার খেতেও আরও বিলম্ব হয়। রাত করে খাওয়ার অভ্যাসে তাই ভেতরে ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়ে শরীর।

শরীরচর্চা না করা

নিয়মিত ব্যায়াম, যোগাসনের উপকারিতা বহু। সারা দিনে অন্তত যদি ১০ মিনিট শরীরচর্চা করেন, তা হলেও সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেরই শরীরচর্চার সঙ্গে একেবারে কোনো সম্পর্ক নেই। জিমে যাওয়া তো দূরের বিষয়, হাঁটাচলাও করেন না অনেকে। শরীরচর্চা না করার ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই।

বাইরের খাবার খাওয়া

আট থেকে আশি, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমবেশি সবারই আছে। প্রতিনিয়ত এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে জমা হচ্ছে ফ্যাট। বাড়ছে ওজন। স্থূলতার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো নানা রোগ।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *