চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: শীতকাল ইবাদতের বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত, যা মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মৌসুমে ইবাদত করা তুলনামূলক সহজ হয় এবং এতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ বেশি পাওয়া যায়। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, “শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল।” (মুসনাদে আহমাদ: ১১৬৫৬)।
নিচে শীতকালে করা যায় এমন পাঁচটি সহজ আমল তুলে ধরা হলো:
১. নফল রোজা রাখা: শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য কম থাকায় রোজা রাখা সহজ হয়। এটি এক ধরনের সওয়াব অর্জনের সুযোগ; হাদিসে বলা হয়েছে, “শীতকালের গনিমত হচ্ছে এ সময় রোজা রাখা।” (তিরমিজি: ৭৯৫)
২. শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো: দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সহায়তায় শীতের মৌসুমে পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষার অন্যতম অংশ। কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, “আত্মীয়-স্বজনকে দাও তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও।” (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত: ২৬)
৩. তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়: শীতকালে রাত দীর্ঘ হওয়ায় শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা সহজ হয়। আল্লাহ ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে বলেছেন, “তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে…” (সুরা সাজদাহ, আয়াত: ১৬)
৪. অজু ও গোসলের গুরুত্ব: শীতকালে শরীর শুষ্ক থাকায় অজু ও গোসল যথাযথভাবে আদায় করা জরুরি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “অজু করার সময় পায়ের গোড়ালি যেসব স্থানে পানি পৌঁছেনি, সেগুলোর জন্য জাহান্নাম।” (মুসলিম: ৪৫৮)
৫. গাছের পাতা ঝরে পড়া দেখে শিক্ষা গ্রহণ: হাদিসে বলা হয়েছে, “কোনো বান্দা ‘আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ এবং লাইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ বললে তা তার গুনাহ এরূপভাবে ঝরিয়ে দেয়; যেভাবে এ গাছের পাতা ঝরে পড়ে।” (তিরমিজি: ৩৫৩৩)