শেখ হাসিনা মানুষ খুন, গুম ও টাকা চুরির সাথে জড়িত থাকার কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। জনসভাটির আয়োজন করে রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
এবিএম মোশাররফ বলেন, “স্বৈরাচারী এরশাদ ক্ষমতা হারানোর পরও দেশ ছেড়ে পালায়নি, অথচ শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে মোদীর আতিথ্য গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা মামলার ভয়ে লুকিয়ে আছেন। আমি তাদের প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কেমন নেতার দল করেছেন?” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর ২ শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে, যেগুলো বিএনপি করেনি; বরং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মামলা করেছে।”
মোশাররফ আরও বলেন, “গত ১৭ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত। তবে আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন—আমরা আওয়ামী লীগের মতো সহিংসতার রাজনীতি করবো না।”
তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “তোফায়েল বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে অন্তত ৫ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহত হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ, বিএনপি গুম-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, সদস্য মোস্তাক আহমেদ পিনু, জাফরুজ্জামান খোকন, এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদারও বক্তব্য দেন।
ছয়টি ইউনিয়ন থেকে আসা অন্তত ২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থক এই জনসভায় অংশ নেন।