পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যানজট নিয়ন্ত্রণে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে শৃঙ্খলা ফিরেছে

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে যানবাহনের চাপ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে প্রতিদিন শতাধিক নতুন ট্রিপ যোগ হয়েছে, যার ফলে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, বাস মালিক গ্রুপ, শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাফিক পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগের ফলস্বরূপ বর্তমানে এই জায়গাটিতে যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে এবং শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।

বিগত সময়ে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ছিল যানজট ও বিশৃঙ্খলার কেন্দ্রবিন্দু। বাস পার্কিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না, যার কারণে গাড়ি মূল সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করাতে গিয়ে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি হত। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ট্রাফিক পুলিশ ও বাস মালিক গ্রুপ একযোগে ব্যবস্থা নেয়, যার ফলে সেখানে যানজট শূন্যের কোঠায় চলে আসে এবং বাস টার্মিনালের সৌন্দর্যও ফিরে আসে।

বর্তমানে, বাসগুলো শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে পার্কিং করা হচ্ছে এবং থ্রি-হুইলারগুলো নির্দিষ্ট স্থানে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। বাস মালিক গ্রুপ এবং শ্রমিক ইউনিয়নও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় যানজট কমাতে কাজ করছে। টার্মিনাল এলাকার অবৈধ দোকানপাটগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যাতে সড়কে আরো বেশি জায়গা পাওয়া যায় এবং যানজট কমে।

ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের তত্ত্বাবধানে কাজ করছে ৯ সদস্যের একটি টিম, যার নেতৃত্বে আছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মামুন আল আমিন। তিনি এবং তার টিম ২৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালাচ্ছেন যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তাদের সহায়তায়, গত কয়েক মাসে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় যানজটের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।

বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সদস্য মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, “আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং যাত্রী সেবা উন্নত করতে। আমাদের সহযোগিতায় ট্রাফিক পুলিশ ও শ্রমিক ইউনিয়ন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।”

এদিকে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামও জানিয়েছেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ কঠোর মনোভাব নিয়েছে এবং এটি ইতিবাচক ফল দিচ্ছে। তিনি বিশেষভাবে ট্রাফিক বিভাগের পুলিশদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “মাঠ পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং যানজট কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।”

এছাড়া, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা মামুন আল আমিন জানান, “আমরা যাত্রীদের স্বস্তি নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি এবং আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম