চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির পর বাংলাদেশ বলছে, চিন্ময় দাশের গ্রেপ্তারের বিষয়টি কোনো কোনো গোষ্ঠী ভুল বুঝেছে।
ঢাকার বিমানবন্দরে আটক বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত আনা হয়।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচের ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়ে ভারত সরকারের বিবৃতিকে ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে তুলে ধরে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অন্তর্ববর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার পাল্টা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি কেবল তথ্যের ভুল উপস্থাপনই নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার যে মেজাজ, সেটারও পরিপন্থি।”
দিল্লির আহ্বানের বিপরীতে ঢাকা বলেছে, “দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতেও বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
চট্টগ্রাম পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে বিবৃতি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাতে বলা হয়, ‘উগ্রবাদী গোষ্ঠীর দ্বারা’ বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর একাধিক হামলার পরে চিন্ময় দাশকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর এ ঘটনা ঘটল।
“সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটের পাশাপাশি প্রতিমা ও মন্দিরে চুরি, ভাঙচুর ও অবমাননার ‘কিছু নথিবদ্ধ ঘটনাও রয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িতরা যখন ধরাছোঁয়ার বাইরে, তখন শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায়সঙ্গত দাবি উত্থাপনকারী একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনাটা দুর্ভাগ্যজনক।”