বরিশালের থেকে দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের যাতায়াতে নদীপথই একমাত্র মাধ্যম। সময় বাঁচাতে ফেরি বা লঞ্চের চেয়ে স্পিডবোট বেশি ব্যবহৃত হলেও এর সেবা এবং নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ রয়েছে।
নিরাপত্তার অভাব ::
দ্রুতগামী পরিবহন হলেও অধিকাংশ স্পিডবোটে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম থাকা বাধ্যতামূলক হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা অনুপস্থিত। এর ফলে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
রাজনৈতিক প্রভাব ও ঘাট দখলের লড়াই ::
বরিশাল জেলা স্পিডবোট মালিক ও শ্রমিক সমবায় সমিতির উপর দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে। ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ইতিহাস রয়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পর, গত ৫ আগস্ট থেকে বিএনপি সমর্থিত স্পিডবোট মালিকরা ঘাটের দখল নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরপর থেকেই ঘাটে নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া যায়।
চাঁদাবাজির অভিযোগ ::
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিগত সময়ে নৈশ প্রহরী ও লাইনম্যান খাতে স্পিডবোট প্রতি মাসে ২০০ টাকা নেওয়া হতো। বর্তমানে এ খরচ বেড়ে ৭০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ঘাট উন্নয়নের নামে এসব অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বর্তমান স্পিডবোট মালিক ও শ্রমিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অর্থ বাস্তব কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় না করে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীদের যাতায়াতে সুরক্ষা ও ন্যায্য সেবার পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
“মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”