সুদূর সাইবেরিয়া থেকে শীতের আগমনে অতিথি পাখিদের কলতানে ভরে উঠেছে ভোলার তারুয়া সৈকতসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল। কুকরি-মুকরি, চর পাতিলা, ঢালচর এবং পর্যটনভূমি তারুয়াসহ ছোটবড় চরগুলো যেন সবুজাভ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য দেখতে এখন পর্যটকদের ভিড়।
জানা গেছে, এসব এলাকায় অতিথি পাখির উপস্থিতি প্রকৃতিকে নতুন এক রূপে সাজিয়েছে। ছোট-বড় পানকৌড়ি, সোনাজিরিয়া, কালোলেজ জৌরালি, গাঙ্গচিলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ঝাঁক উড়ে বেড়ায় তারুয়াসহ চরাঞ্চলজুড়ে।
পর্যটকদের নজর কাড়ে পাখির আনাগোনা::
পর্যটক রফিকুল ইসলাম বলেন, “তারুয়ায় পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ মন ছুঁয়ে যায়। এখানে আসলে সত্যি পাখিদের দেশে বসবাস করার অনুভূতি হয়।” অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা আবু মিয়া জানান, “পাখিদের উড়াউড়ি এবং খাবার সংগ্রহের দৃশ্য চরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।”
অবহেলায় পরিযায়ী পাখিদের নিরাপত্তা ::
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু শিকারি বিষটোপ মিশিয়ে পাখি শিকার করছে, যা পরিযায়ী পাখিদের জন্য বড় হুমকি। এর ফলে গত দুই দশকে পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
প্রশাসনের উদ্যোগ ::
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের পাখি শিকার বন্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক জানান, আটটি রেঞ্জের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং পাখি শিকার বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
শীতকালীন অতিথি পাখিদের আগমনে ভোলার এই চরাঞ্চল যেন প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক নতুন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। পাখিদের ডানা মেলে উড়ে চলার দৃশ্য উপভোগ করতে এখনই যেতে পারেন এই প্রকৃতির রাজ্যে।
“মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”