হামাসের নেতৃত্বাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল কুদরা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আল শিফা হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী হন এবং এগিয়ে আসেন, তাহলে আমরা তাদের গ্রহণ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তত আছি।’
‘আল শিফায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় ১ হাজার রোগী। এছাড়া প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৭ হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি রয়েছেন হাসপাতালটিতে। বিশ্বের সব দেশের প্রতি আমাদের আবেদন, আল শিফায় সামরিক অভিযান বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিন।’
আল শিফা গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যতম মুখপাত্র ও হাসপাতালটির মহাপরিচালক ডা. মুনির আল বুর্শ বলেছেন, অভিযান শুরুর এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীর কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছিলেন তার সঙ্গে। তারা বলেছিলেন, আর কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু হবে।
জ্বালানি ও ওষুধ সংকটের কারণে আল শিফা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দু’দিন আগেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসাধীন রোগীদের মৃত্যু শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে হাসপাতাল চত্বরে ১৭৯ জন রোগীকে দাফন করা হয়েছে।
সূত্র : সিএনএন