শিরোনাম

বরিশাল সদর আসনে মুখোমুখি মন্ত্রী ও সাবেক মেয়র, আতঙ্কে ভোটাররা

Views: 111

বরিশাল অফিস: আগেভাগেই জমে উঠেছে বরিশাল-৫ আসনের নির্বাচন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিদায়ী সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। বহু আগে থেকেই মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সঙ্গে দলীয় প্রার্থী জাহিদ ফারুকের তিক্ত সম্পর্ক রয়েছে। সাদিকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রার্থী হওয়া তাঁর অধিকার।

এদিকে প্রভাবশালী দুই নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কিছুটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ভোটাররা। তাঁদের মতে, ভোটকেন্দ্রে ভোটার বাড়াতে আওয়ামী লীগ নিজ দলে একাধিক প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের যে অবস্থা তৈরি করছে তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। একই দলের পরস্পর বিরোধী অবস্থানে আতঙ্কে আছেন তাঁরা। এতে ভোটসংখ্যা কমে যাবে বলে ধারণা করছেন ভোটার ও বিশিষ্টজনেরা।

শিক্ষাবীদ এম আমজাদ হোসেন মোল্লা বলেন, ‘গোড়া রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য যারা তাঁরা নৌকার বিপরীতে স্বতন্ত্র হলে তা কেউ ভালো চোখে দেখে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন বিভক্তি কর্মীদের একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলবে। এর প্রভাব পড়বে ভোটারদের ওপর। ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে যাবে।’

উন্নয়নকর্মী আফরোজা মিতার বলেন, ‘এমনিতেই মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসতে চায় না। এর ওপর আবার ক্ষমতাসীন দলের দুই প্রার্থী দেখলে ভয়ে আরও কেন্দ্রে আসবে না। ভোটকেন্দ্রে ভোটার বেশি করার এই কৌশল মার খাবে। যে পরিমাণ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তাতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে।’

এদিকে বিষয়টিকে পীড়াদায়ক পরিস্থিতি হিসেবে দেখছেন বরিশালে সুশীল সমাজের নেতৃত্বদানকারী ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কাজ করা ব্যক্তিরা। অতিসত্বর এক দল এক প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা চেয়েছেন তাঁরা।

বরিশাল সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘এক দলে বহু প্রার্থীর ঘোষণায় একটি রোমহর্ষক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় দলের মধ্যে কোন্দল আরও স্পষ্ট হবে। প্রকাশ্যে রূপ নেবে হানাহানি। অবিলম্বে আওয়ামী লীগের উচিত এক দল এক প্রার্থীর ঘোষণা দেওয়া। তা না হলে দলীয় বিরোধ ঘরে ঘরে কোন্দল সৃষ্টি করবে।’

মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনং সাদিক আব্দুল্লাহর নির্বাচনী মুখপাত্র নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, ‘আমরা পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নির্বাচনে আসিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সুযোগ দিয়েছেন প্রার্থী হতে, আমরা বিদ্রোহী নই। যার জনপ্রিয়তা থাকবে, সে বিজয়ী হবে। বিএনপি–জামায়াতের ভোট বিনষ্টের চেষ্টার বিপরীতে এটা আমাদের শক্ত অবস্থান।

চন্দ্রদীপ নিউজ/ এস এল টি 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *