বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই পথ হারায় নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে দারুণ শুরু করেন বাংলাদেশের পেসাররা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। ১৮ বলে ২২ রান করে ফেরেন জ্যাকব কামিং। নিজের পরের ওভারে আবারও উইকেটের দেখা পান এই পেসার। ১২ বলে ৮ রান করেছেন ভুলা।
ইনিংসের ১৪তম ওভারে তৃতীয় উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার শিকার ধরেন তানজিম হাসান সাকিব। ৩২ বলে ২৩ রান করে ফেরেন সুন্দি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জামাল টড। আফিফকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। একশোর আগেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় কিউইরা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে যোগ করেন ৪৭ রান। ৩১ বলে ৩৩ রান করে বিজয় ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
ফিফটির দেখা পেয়েছেন তানজিদ তামিমও। এই তরুণ ওপেনার এদিনও বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৬ বলে ৫৮ রান। জাতীয় দলের সঙ্গে প্রথমবার দেশের বাইরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গিয়ে এমন শুরুটা তাকে নিশ্চয়ই স্বস্তি দেবে।
রানের দেখা পেয়েছেন লিটন দাসও। যদিও তিনি ধীরগতির শুরু করেছিলেন। তবে শেষের দিকে হাত-খুলে খেলে সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন। তিনি ৫ চার আর এক ছক্কায় ৬৩ বলে করেছেন ৫৫ রান।
টপ অর্ডারের চার ব্যাটারের সবাই ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেও ব্যর্থ ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। তাওহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন দুই অঙ ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন। তাদের দ্রুত বিদায়ের পরও দল বড় সংগ্রহ পেয়েছে রিশাদ হোসেনের কল্যাণে। তিনি সাতে নেমে ৫৪ বলে করেছেন ৮৭ রান। সবমিলিয়ে ৪৯ ওভার ৫ বলে ৩৩৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।