নিজ বক্তব্যে হামাসের চেয়ারম্যান বলেন, ‘হামাস বা প্রতিরোধী শক্তিকে বাদ দিয়ে গাজা কিংবা ফিলিস্তিনে কোনো প্রকার পরিকল্পনা নেওয়া হলে তা হবে বিভ্রম।’
আগের দিন মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক ভাষনে হামাসের নাম উল্লেখ না করে বলেছিলেন, ‘যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন করছে, তাদেরকে কখনও গাজায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি।
অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে ৯৪ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এই বাহিনীর মোট ১১৬ জন কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছেন।
সূত্র : এএফপি