পিরোজপুর প্রতিনিধি: স্বরূপকাঠি উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পাশবিক নির্যাতনের দায়ে মো. জাকির হোসেন (৫২) নামের এক বৃদ্ধকে পা বেঁধে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আটঘর—কুড়িয়ানা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়াডের্র উত্তর মাহমুদকাঠি গ্রামে। জানা গেছে ওই গ্রামের মাদ্রাসা পড়ুয়া ৯ বছর বয়সের ছেলেকে একই এলাকার দিনমজুর জাকির হোসেন বিভিন্ন সময় নানা প্রলোভন দেখিয়ে বলাৎকার করে আসছিলো। ছেলেটি সপ্তাহখানেক পূর্বে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। এনিয়ে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি এলাকার কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে জানিয়ে বিচার দাবী করেন। তারা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিলে শিশুটির পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে গত তিনদিন ধরে জাকিরকে খুঁজতে থাকে। বুধবার ভোররাতে জাকির ভয়ে তাদের বাড়ি সংলগ্ন মাহমুদকাঠি ইছামউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়।
সকালে খবর পেয়ে শিশুটির পিতা ও দাদা ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে জাকিরকে তালাবদ্ধ করে রাখে। জাকির নিজেকে রক্ষার্থে জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে জাকিরকে দু’ পা বেঁধে বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে নির্যাতন চালায়।
পরে স্থানীয়রা আহত জাকিরকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে জাকারিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি তার স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে বরিশালে আছেন বলে জানান।
শিশুটির দাদা নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন জাকির খুব খারাপ লোক কেউ তার বিচার না করায় আমরা তাকে মেরেছি। তাকে মারার সময় আমার পুত্রবধু আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার জাকির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শিশুটিকে আদর করেছি মাত্র। স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উভয় পরিবারের সাথে কথা বলেছি। এ ধরনের ঘটনার বিচার করা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। তবে পুলিশের মাধ্যমে জাকিরকে বিচারের আওতায় আনা যেতো। কিন্তু তাকে এভাবে অমানবিক নির্যাতন করাটা ঠিক হয়নি।