শিরোনাম

পটুয়াখালী -১ আসনে জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন, অন্য প্রার্থীর খোঁজ নেই

Views: 47

 

মো: আল-আমিন, পটুৃযাখালী: পটুয়াখালী -১ (মির্জাগঞ্জ-পটুয়াখালী সদর- দুমকি) আসনে কাগজে ছয়টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন। মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বাস্তবে লাঙ্গলের প্রার্থী জাতীয় পার্টি (জাপা) ছাড়া কারও নামই জানা নেই সাধারণ ভোটারদের। কিছুটা প্রচারও আছে লাঙ্গল মার্কার । সড়কের লাঙলের পোস্টার কিছুটা লাগানো হলেও তেমন চোখে পড়েনি অন্যদের পোস্টার। নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পরে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে দলীয় কার্যালয়ে খুলেছেন লাঙ্গল সমর্থকরা। অন্য কোন প্রার্থীর নির্বাচনী কোন ক্যাম্প নেই এই উপজেলায়। দিনভর মাইকিং চললেও মিছিল কিংবা উঠান বৈঠকের কোন খবর পাওয়া যায়নি। মাঝে মাঝে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব মার্কার প্রার্থীর মাইকিং শোনা গেলেও বাকি প্রার্থীরা হাওয়া। বুধবার (২৭ডিসেম্বর) সরেজমিন এসব চিত্র দেখা গেছে।

পটুয়াখালী-১ আসনের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। জাতীয় পার্টির এবিএম রুহুল আমিন প্রার্থী হওয়ায় তাকে এই আসন ছেড়ে দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। ফলে এখানে নৌকা প্রতীকের কেউই নির্বাচনে অংশ নেয় নি। এখানে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা হলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জাসদের কে এম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া(মশাল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মহিউদ্দিন মামুন (ছড়ি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন- বিটিএফ এর মোঃ খলিল ( ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনসিপি-র নজরুল ইসলাম(আম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ নাসির উদ্দিন তালুকদার (ডাব)। কিন্তু মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বসবাসকারী অধিকাংশ লোকেরাই প্রার্থীকে চেনা দূরে থাক, নাম শোনেননি বলে জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত এসব প্রার্থীর কেউ ভোট চাইতেও আসেননি।

প্রশ্ন রেখে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এ উপজেলায় নির্বাচন আছে নাকি? মাঝে মাঝে লাঙ্গল প্রতীকের মাইকিং শুনতে পাই, কয়েকটা জায়গায় এর অফিসও আছে।

এক অটোরিকশা চালক জানান, প্রচার শুরুর পর থেকে যেসব এলাকায় রিকশা নিয়ে গেছেন, লাঙ্গল ছাড়া কোনো প্রার্থীর পোস্টার দেখেননি। অন্য কারও ক্যাম্প চোখে পড়েনি। অবশ্য উপজেলা সদরে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত নাসির উদ্দিন তালুকদারের ডাব মার্কার কিছু পোস্টার দেখা গেছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *