এস এল টি তুহিন, বরিশাল :: বরিশাল মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা ১৮ ইঞ্চি উচ্চতার শাহীন ফকির ক্রিকেটার তামিম ইকবালের দেওয়া মোটরচালিত আধুনিক হুইল চেয়ারের মাধ্যমে এখন কারো সহায়তা ছাড়াই চলাফেরা করতে পারেন। চলাচলে অক্ষম ত্রিশোর্ধ্ব শাহীন ক্রিকেটার তামি ইকবালের ভক্ত। তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তামিম ইকবাল শাহীন ফকিরকে সিলেটে নিয়ে সাক্ষাত করেন।
তামিম ইকবাল জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে সাক্ষাত করিয়ে দেন। এছাড়াও সিলেট ষ্টেডিয়ামে একটি খেলা দেখারও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তখন একটি মোটরচালিত হুইল চেয়ারের আবদার করেছিলেন শাহীন ফকির। সেই আবদার পূরন করেন তামিম ইকবাল।
শাহীন ফকির বলেন, গত আগষ্টে তাকে খবর দিয়ে ঢাকা নিয়ে মোটরচালিত হুইল চেয়ার দিয়েছেন। এখন হুইল চেয়ারে করে বাড়িতে আসা যাওয়া করেন। জন্মের পর পোলিও আক্রান্ত হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বেড়ে ওঠা শাহীনের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলার চরকমিশনার গ্রামে। বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের হায়াতসার গ্রামের ফুলতলা বাজারের পূর্বে ছোট একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন। মাত্র ১৮ ইঞ্চি উচ্চতার ত্রিশোর্ধ্ব বয়সী শাহীন ফকির তার দোকানে মোবাইল রিচার্জ, মোবাইল ব্যাংকিংসহ চকলেট ও বিস্কুট বিক্রি করেন। প্রায় ৬ বছর পূর্বে দেওয়া দোকান থেকে প্রতিদিন বেচা-বিক্রি করে ৩০০ টাকা আয় হয়। এরআগে প্রতিদিন দোকান থেকে বাড়ি ও বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য মাসিক ৫০০ টাকা বেতনে লোক রেখেছিলেন শাহিন ফকির। ক্রিকেটার তামিম ইকবালের দেওয়া মোটরচালিত হুইল চেয়ারে এখন একা একা চলাচল করেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকালে তার দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, ৮/১০ জন শিশু-কিশোর তার দোকান ঘিরে খোশগল্প করছে। তার কাছে যেতেই ‘মোটরচালিত হুইল চেয়ার পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
শাহীন ফকির জানান, হুইল চেয়ার পেয়ে মসজিদে মিলাদ পড়িয়েছি। তামিম ইকবালের জন্য দোয়া করেছি। তামিম ইকবালকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আল্লাহ যেন তাকে সব সময় ভালো রাখেন সেই দোয়াও করেছি। নিজেকে ক্রিকেট পাগল দাবি করে শাহীন ফকির বলেন, গত বিশ্বকাপে তামিম ইকবালকে ষড়যন্ত্র করে রাখা হয়নি। এ জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছেন।
তামিম ইকবাল যেন মনে কষ্ট না নেন জানিয়ে বলেন, আমরা দোয়া করি তিনি আবার ফিরে আসবেন।