মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালী জেলার ৪টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই ভালো অবস্থায় রয়েছে নৌকা। পটুয়াখালী-১ আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে।
পটুয়াখালী-২ আসনে সাতবারের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী আ স ম ফিরোজের জয় নিশ্চিত।
পটুয়াখালী-৩ আসনে নৌকার বিপরীতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না ঈগল।
তবে পটুয়াখালীর-৪ আসনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মুহিবুর রহমান মুহিব ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারের দিকে সবার নজর। এখানে নৌকার সঙ্গে ঈগলের লড়াই হলেও শেষ হাসির সম্ভাবনা রয়েছে নৌকারই।
পটুয়াখালী-১ : পটুয়াখালী সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী নিয়ে জাতীয় সংসদের এই আসনটি গঠিত হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার কোনো প্রার্থী নেই; ছেড়ে দেয়া হয়েছে সমঝোতার প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে এই আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার যে বিজয়ী হবেন তা বলাই যেতে পারে। রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে যারা লড়ছেন- তাদের মধ্যে রয়েছেন জাসদের (মশাল) কে এম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (ছড়ি) মহিউদ্দিন মামুন, তরিকত ফেডারেশনের (ফুলের মালা) মো. খলিল, এনপিপির (আম) নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের (ডাব) নাসির উদ্দিন তালুকদার।
বিগত সময়ের একাধিকবারের এমপি রুহুল আমিন হাওলাদারের বিপক্ষে এরা সবাই অনভিজ্ঞ ও নতুন প্রার্থী। তাছাড়া আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি সবার চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে আছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য হয়। এরপর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আফজাল হোসেনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। নির্বাচনে আফজাল হোসেন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন।
এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটিতে প্রথমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু মহাজোটের সঙ্গে আসন সমঝোতায় আফজাল হোসেন বাদ পড়ে যান। মহাজোটের একক প্রার্থী হন এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। আওয়ামী লীগের অর্ধেকের বেশি নেতাকর্মী ইতোমধ্যেই রুহুল আমিন হাওলাদারের পক্ষে এলাকায় কাজ শুরু করেছেন। অন্য যেসব প্রার্থীরা দাঁড়িয়েছেন তাদের কারোরই রুহুল আমিন হাওলাদারের শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে ওঠার সক্ষমতা নেই।
পটুয়াখালী-১ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৭ জন।
পটুয়াখালী-২ : শুধু বাউফল উপজেলাটি নিয়ে জাতীয় সংসদের এই নির্বাচনী আসন। এখানে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ। তিনি গত দশটি নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এর মধ্যে সাতবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এই আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ এ আসনটি ধরে রেখেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে আ স ম ফিরোজের। জাতীয় সংসদের হুইপ, চিফ হুইপসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন সংসদ সদস্য।
তিনি ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পটুয়াখালী-২ আসন থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন।
বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় তার নিজস্ব বিশাল ভোটব্যাংক রয়েছে।
তার প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে তৃণমূল বিএনপির (সোনালি আঁশ) মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (টেলিভিশন) জোবায়ের হোসেন ও জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মহসীন হাওলাদার প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
পটুয়াখালীর অন্য আসনে ভোট নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা থাকলেও পটুয়াখালী-২ আসনে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে পাল্লা দেয়ার মতো কোনো প্রার্থী নেই। আ স ম ফিরোজ এ আসনে নিশ্চিন্তে জয়লাভ করবেন বলেই জানিয়েছেন এলাকার ভোটাররা।
পটুয়াখালী-২ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৪ জন।
পটুয়াখালী-৩ : গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের এই আসনে নৌকার বিপরীতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না ঈগল। ১৯৯১ সাল থেকে আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত এই আসনটি দখলে রেখেছে। কিন্তু তারপরও এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। দলীয় কোন্দল এতটাই চরমে যে, এই আসনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের ২১ জন নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। এদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদাও ছিলেন। শাহজাদা দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। তবে তার সহজ জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রভাবশালী একসময়ের সরকারি কর্মকর্তা আবুল হোসেন।
এলাকাবাসী জানান, গলাচিপা দশমিনা এলাকার মানুষের অপরিচিত আবুল হোসেনের ঈগল প্রতীক নিয়ে দেশের অন্যান্য নির্বাচনী এলাকার মতো নৌকায় ছোবল মারার মতো অবস্থা নেই।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা সাবেক নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার ভাগ্নে। ১৯৯১ সালের পর থেকে পটুয়াখালী-৩ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। একসময় আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন আওয়ামী লীগ ও নৌকার হাল ধরে রেখেছিলেন। তারপরও ২০০৮ সালে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। ওই সময় অপেক্ষাকৃত তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মাওলা রনিকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়। নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন মঞ্চে রনি আওয়ামী লীগ বিরোধী কথা বলতে থাকেন। এছাড়া দখলবাজি, চাঁদাবাজি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন। তার এসব আচরণে গণমাধ্যমকর্মীরা সোচ্চার হলে তিনি তাদের ওপর চড়াও হন। গণমাধ্যমকর্মীরা মারধরের শিকার হয়। দল তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করে। এরপর ২০১৪ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগ আবারো মনোনয়ন দেয় আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেনকে। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার ভাগ্নে এস এম শাহজাদাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিগত পাঁচ বছরে শাহজাদা এলাকায় তার একটি নিজস্ব বলয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর তেমন কোনো অভিযোগও নেই। তাই এবারো শাহজাদাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা আবারো নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
নৌকার বিপরীতে শাহজাদার অন্য প্রতিদ্ব›দ্বীরা হলেন- বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (টেলিভিশন) এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, এনপিপির (আম) ছাইফুর রহমান, জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (একতারা) নূরে আলম এবং ঈগল প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন।
গলাচিপা উপজেলার বাসিন্দা শামসুল হক বলেন, বর্তমান আবারো মনোনয়ন পাওয়া শাহজাদার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন শক্তিশালী প্রার্থী। তবে নৌকাকে পরাজিত করার মতো শক্তি তার নেই। এলাকার মানুষের কাছেও তিনি অপরিচিত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী তার পক্ষে নেমেছেন। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে আবুল হোসেন কিছু মানুষের জনসমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। তার কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন। তাই বলে নৌকার নিশ্চিত জয়ের পথে বড় বাধা হতে পারবে না।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবুল হোসেন একসময় সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, বিজিবি মহাপরিচালক ও রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। কিন্তু পটুয়াখালীতে নির্বাচনী এলাকায় তার যাতায়াত ছিল না। ফলে এলাকার মানুষের কাছে তার পরিচিতি নেই। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ আবুল হোসেনের পক্ষে নেমেছেন। দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের পক্ষে নেমেছেন। কিন্তু তাদের ওপর ভোটারদের আস্থা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে, গলাচিপার যুদ্ধাপরাধী ও সাজাপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আত্মীয়স্বজন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আবুল হোসেনের পক্ষে কাজ করছে।
অপরদিকে ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা সন্তোষ বাবুসহ একটি বড় অংশ বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাদার পক্ষে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত পাঁচ বছরে এলাকায় তার নিজস্ব একটি বলয় গড়ে তুলেছেন শাহজাদা। এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এই আসনের ভোটে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনও নৌকার বিপরীতে ঈগলকে ভোট দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আছে। বিএনপি-জামাতের লোকজন নৌকার প্রার্থীর বিজয় ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে।
পটুয়াখালী-৩ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৬৭ জন। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন ২১ জন।
পটুয়াখালী-৪ : কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী নিয়ে গঠিত এই আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান। তার প্রতিদ্ব›িদ্বতা সঙ্গে মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতায় রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর নির্বাচন ঘিরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনের মধ্যে কলাপাড়া-রাঙ্গাবালীর আসনটি সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখানেও দলীয় কোন্দল রয়েছে। এই আসনে দলীয় কোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি অংশ নৌকার পক্ষে এবং অপর একটি অংশ ঈগল প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে। কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার ও বর্তমান সাংসদ মুহিবুর রহমান মুহিবের মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে ঈগলকে হটিয়ে সহজে নৌকার জয় হবে এটা অকপটে বলা যাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে টানা তিনবার এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন পান কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান তালুকদার। তবে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় ধুলাসার জালাল উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুহিবুর রহমান মুহিবকে। আসন্ন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে তার ওপরই আস্থা রেখেছে।
রাঙ্গাবালীর বাসিন্দা জুবায়ের আহমেদ জানান, এই আসনটি পটুয়াখালী জেলার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটন নগরী কুয়াকাটা, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও শেরেবাংলা নৌঘাঁটিসহ মেগা প্রকল্পে ভরপুর কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী সংসদীয় এলাকাটি। রাঙ্গাবালী উপজেলার চর হেয়ার, চর মন্তাজ, সোনার চরসহ বিভিন্ন চর এলাকায় পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। দু-এক বছরের মধ্যে এই এলাকাগুলো পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এখানে আসছেন। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৬ লেনের মহাসড়ক হয়ে গেলে এলাকার গুরুত্ব আরো বাড়বে। বর্তমান সংসদ মুহিবুর রহমান মুহিব বিগত পাঁচ বছর এলাকার উন্নয়নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো তাকে এই অঞ্চলের নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন।
কলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা উত্তম দাস বলেন, পটুয়াখালী-৪ আসনটি সব সময় আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এখানে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগে ভালো পদ-পদবি না পাওয়া কিছু নেতা নৌকার বিরুদ্ধে ঈগলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এলাকার মানুষ নৌকার বাইরে যাবে না, তারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নৌকাতেই ভোট দেবে। বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিব ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই। এই আসনে তিনি অনেক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। শেষ পর্যন্ত নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করবেন।
এ আসনে অন্য প্রতিদ্ব›দ্বীরা হলেন- স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন, জাতীয় পার্টি মনোনীত আব্দুল মান্নান হাওলাদার, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত জাহাঙ্গীর হোসাইন ও জাসদের বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু।
পটুয়াখালী-৪ আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৪ জন।
এই এলাকার ৪টি আসনের নিরাপত্তাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিশেষভাবে মনিটরিং করছে জেলা নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন আগামী ৭ জানুয়ারি গলাচিপা-রাঙ্গাবালী আসনের দিকে সবচেয়ে বেশি নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন-সংশ্লিষ্টরা।