বরিশাল অফিস :: বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর রাজনীতি করায় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিকে বিবস্ত্র করে পেটালেন ছাত্রলীগ। এসম তাদের হামলায় পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বরিশাল ল’কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড: মোস্তফা জামাল খোকন বলেন, মঙ্গলবার(৯জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থানীয় অপু মোল্লা,আজিম ও তাদের সাথে ২৫/৩০ জন ছেলেরা এসে আমাদের অতর্কিত ভাবে হামলা করেন। এরা সকলেই কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অসিম দেওয়ানের অনুসারী। অসিম দেওয়ান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে বিসিসি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী।
কি কারনে এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে জানতে চাইলে বলে, কলেজে কোনো সাদেক আবদুল্লাহর রাজনীতি চলবেনা। কলেজে সাদেকের ছবি টানানো কেন? আমরা সাদেকের দালাল তাই বলেই আমি ও আমার পাশে থাকা কলেজের সভাপতি ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ভিপি আনোয়ারকে বেধড়ক মারধর করেন। শুধু মারধর করেই ক্ষ্যন্ত হয়নি। কলেজের সভাপতি ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে জামাপ্যান্ট ছিঁড়ে বিবস্ত্র করেন।
এসম শিক্ষার্থীরা টের পেয়ে তাদের বাঁধা দিতে আসলে তাদেরকেও মারধর করেন।
আহত তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন, জহিরুল ইসলাম, মো: জসিম ও ইব্রাহিম সুমন।
এঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীরসহ তাদের অনুসারীরা। এসময় সাদেক আবদুল্লাহ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে গালাগাল মারধর করেছে বিষয়টি আমি মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নিবো। এছাড়াও পুলিশ কমিশনারকে বলেছি তিনি বিষয়টির সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশাকরি।
এবিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক বলেন, মারামারি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি এবং কেউ আটকও নেই।