শিরোনাম

বরিশালে রোগীর দালাল সরকারী চিকিৎসকের সহকারী !

Views: 44

বরিশাল অফিস :: দালাল নির্ভর হয়ে পড়েছে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতালে বেশিরভাগ সময় চিকিৎসক অফিস সময়ে নিজেদের সাথেই রাখছেন দালালদের। চিকিৎসকদের সাথে থাকা এসব ব্যক্তিরা দালাল নামে পরিচিত হলেও মূলত এরা হাসপাতালের সামনে অবস্থিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বেতনভুক্ত কর্মচারী।

রোগী দেখা মাত্রই এসব ডাক্তাররা ওই দালালদের মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন চুক্তিবদ্ধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যেখান থেকে মোটা অংকের কমিশন পান ওই ডাক্তাররা। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে গোটা হাসপাতালে দালাল ও ডাক্তারদের এই রমরমা বানিজ্য ওপেন সিক্রেটে পরিনত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের বহিঃবিভাগে নজর রেখেছিলো চন্দ্রদীপ নিউজ রিপোর্টার । সেখানে দালালদের সাথে ডাক্তারদের সম্পর্ক ও সখ্যতার বাস্তব প্রমান পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে,হাসপাতালের বহির্বিভাগে থাকা প্রায় প্রত্যেক চিকিৎসকের সাথেই থাকছেন এক একজন দালাল। তারা এমনভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তাতে বোঝার উপায় নেই যে এরা হাসপাতালের কর্মচারী নাকি বাইরের লোক। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক অবশ্য অকপটে স্বীকার করেছেন এই তথ্যের সত্যতা। তবে পাশাপাশি এর কারণ হিসাবে কিছু যৌক্তিকতাও তুলে ধরেছেন ।

এ বিষয়ে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, অভিযোগ যে একদম ভিত্তিহীন তা বলব না। তবে এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে। এরমধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে হাসপাতালে জনবল সংকট। বহির্বিভাগে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোগী দেখতে হয় দায়িত্বরত সকল ডাক্তারদের। রোগীদের লাইন ঠিক করা ও সিরিয়াল অনুযায়ী ডাক্তারদের রুমে রোগী প্রেরণ করার জন্য একজন কর্মচারী বা ডাক্তারের সহকারীর দরকার হয়।

তিনি বলেন,কিন্তু হাসপাতালে জনবল কম থাকায় আমরা প্রতিজন ডাক্তারের সাথে একজন করে সহকারী দিতে পারি না। এখন একজন ডাক্তারের পক্ষে তো রোগীর লাইন ঠিক করা সম্ভব না। এ কারনে নিরুপায় হয়ে ডাক্তাররা বাইরের লোকদের সাহায্য নিচ্ছে। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তারপরও বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটি সভায় আলোচনা করেছি। আশা করছি বিষয়টি নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।

এ বিষয়ে বরিশাল সিভিল সার্জন ডা: মারিয়া হাসান বলেন, প্রত্যেক ডাক্তারকে ডিউটি চলাকালীন সময়ে একজন করে সহকারী দিতে এরকম কোন বিধান নেই। অনেক সময় জনবল সংকট থাকলে রোগীর লাইন ঠিক করতে ডাক্তারকেও তদারকি করতে হয়। এই অযুহাতে বাহিরের কোন ডায়াগনস্টিকে লোক সহকারী হিসেবে রাখার কোন এখতিয়ার নেই। কোন ডাক্তার এরকম করে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *