Views: 39নতুন সৈকতে অনায়াসে ধরে যেতে পারে দু-দুটি ফুটবল মাঠ। শুধু তা-ই নয়, এর ফলে সমুদ্রবন্দরও পরিণত হয়েছে পানিহীন শুকনা খটখটে মাঠে। ভূমিকম্পের সপ্তাহ দুয়েক পর উপগ্রহের চিত্রে এই অবস্থা উঠে এসেছে।বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভূমিকম্পের জেরে উপকূল থেকে সমুদ্র সরে গেছে।
ফ্রান্সের এক ইলেকট্রনিক টেকনিশিয়ান ও ভূ-পর্যবেক্ষক (পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিপর্যয় পর্যবেক্ষণ করেন) নাহেল বেলগোরজে প্রথম গত ৪ জানুয়ারি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, ‘জাপানের নোটো উপদ্বীপে ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে উপকূলবর্তী অঞ্চলে ২৫০ মিটার জমি জেগে উঠেছে।’ তিনি নোটো উপদ্বীপের ভূমিকম্পের আগে ও পরের ছবিও শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নোটো উপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অনুসন্ধানে নেমে অন্তত ১০টি স্থানে তাঁরা জমি জেগে ওঠার (কোস্টাল আপলিফট) প্রমাণ পেয়েছেন। ‘জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি’র বিশেষ কৃত্রিম উপগ্রহ ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ড অবজারভিং স্যাটেলাইট-২’-এর পাঠানো ছবিতেও বিষয়টি ধরা পড়েছে।
তবে দেশটিতে চার দশকের বেশি সময় ধরে কঠোর ভবন নির্মাণবিধি কার্যকর থাকায় বেশির ভাগ ভূমিকম্পে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয় না। সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা।
চন্দ্রদীপ ডেস্ক : ২০২৪ সালের প্রথম দিনটিতেই কেঁপে উঠেছিল জাপানের নোটো উপদ্বীপ অঞ্চল। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৫। ২১৩ জন প্রাণ হারায় সেই বিপর্যয়ে। ২৬ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিল।
কমপক্ষে ৬০ হাজার বাড়িতে ছিল না পানি। ১৫ হাজার পরিবার ছিল বিদ্যুত্হীন। তবে এখানেই শেষ নয়, ভয়াবহ এই ভূমিকম্প প্রকৃতির ওপরও ছাপ ফেলে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওই ভূমিকম্পের কম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে সমুদ্র পিছিয়ে গেছে আর সমুদ্র ঘেঁষে জেগে উঠেছে প্রায় ৮০০ ফুট (২৫০ মিটার) জমি।
জাপান প্রতিবছর শত শত ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়।