শিরোনাম

হুথিদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা স্বীকার করলেন বাইডেন

Views: 42
চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  ইয়েমেনের সশস্ত্র হুথি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কিন্তু তারপরও লোহিত সাগরে ইসরায়েলি, মার্কিন ও পশ্চিমা জাহাজগুলোতে হুথিদের হামলা থামছে না। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারই (১৮ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন জাহাজে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠটি। শেষমেশ খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও হুথিদের থামাতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে হুথিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা কাজ করছে কি না- প্রশ্নের উত্তরে জো বাইডেন বলেন, যদি বলেন, আমাদের পদক্ষেপগুলো হুথিদের আক্রমণ থামাতে কাজ করছে কি না, তাহলে বলব, না। আমরা কি পাল্টা হামলা অব্যাহত রাখব? হ্যাঁ।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অভিযানের তত্ত্বাবধানকারী ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে যে, দক্ষিণ লোহিতসাগর লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হুথিদের দুটি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আত্মরক্ষার্থে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত করে সেগুলো ধ্বংস করেছে মার্কিন বাহিনী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর হামাসকে সমর্থন জানিয়ে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। সবশেষ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ইসরাইলগামী মাল্টার পতাকাবাহী একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে তারা। এতে কেউ হতাহত না হলেও জাহাজটির বেশ ক্ষতি হয়।

এছাড়া হুথিদের লক্ষ্য করে মঙ্গলবার ফের হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নাম গোপন রাখার শর্তে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় চারটি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পিতিবার (১১ জানুয়ারি) ও শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় যৌথ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তবে হুথি জানিয়েছে, যতদিন গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলবে ততদিন তারাও হামলা চালিয়ে যাবে।

এদিকে, বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হুথিদের এসব হামলার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এর অনেক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। লোহিত সাগর থেকে মিশরের সুয়েজ খাল হয়ে যেসব জাহাজ ইউরোপে যেত, সেগুলো এখন আফ্রিকা ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় জাহাজগুলোকে আরও ১০দিন বেশি চলতে হচ্ছে। এমনকি, এশিয়া থেকে ইউরোপ যেতে ৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত জ্বালানিও লাগছে। ফলে জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *