স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমি বলেছি, কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে একজন কর্মকর্তা ২০/৩০/৪০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ওয়াসার এমডি বারবার কেন দায়িত্ব পেয়েছেন, কারণ তিনি তার যোগ্যতা সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। নিজের যোগ্যতার কারণে, কর্মদক্ষতার কারণে তিনি বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের এমডির নেতৃত্বে কাজ করে ঢাকা ওয়াসাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পানির দাম নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার সময় আমি বলেছি, ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা যদি উৎপাদন খরচ হয় তাহলে সেটা যদি আমি ১৫ টাকায় বিক্রি করি, তবে বাকি ১৫ টাকা আমি কোথা থেকে পাবো? তাহলে এটা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সারা দেশের মানুষের থেকে সরকার ট্যাক্সসহ বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে আর সেই অর্থ দিয়ে ওয়াসার পানির দাম না বাড়ানোর জন্য ভর্তুকি দিয়ে যাব? এমন প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ওয়াসার নিজেদের মধ্যেকার কোনো দুর্নীতির কারণে যদি পানির দাম বাড়ে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু গরিব মানুষের টাকা এনে সেই টাকা থেকে ওয়াসার পানির দাম কম রাখার জন্য ভর্তুকি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ওয়াসার পানির গুণগত মান আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদেরকে কাজ করে যেতে হবে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ মুহম্মদ ইব্রাহিম, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুজিত কুমার বালাসহ ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।