শিরোনাম

বরিশালে ভেজাল সারে কৃষকের সর্বনাশ!

Views: 43

বরিশাল অফিস :: বরিশাল অঞ্চলে চাষাবাদে ১১ ধরনের সার ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে রয়েছে টিএসপি, ডিএপি, জিংক, বোরিক অ্যাসিড, সলুবর, জিপসাম, মিশ্র ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেট। সারগুলোতে মিলেছে ভেজাল উপাদান। যা ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি ক্ষতি করছে কৃষিজমির। কৃষকেরা উদ্বিগ্ন হলেও এসব সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কৃষি বিভাগ।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট বলছে, গত তিন বছরে প্রায় ১ হাজার নমুনা পরীক্ষায় ভেজাল মিলেছে ২০০ ধরনের সারে। গত বছরও ৩৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতেও ভেজাল পাওয়া যায় ৬০টিতে।

ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বছরে ১ হাজার সারের নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে। গত বছর আমরা ৩৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করেছি, গত ৭ মাসে আমরা মাত্র ৩০টি নমুনা পেয়েছি। অথচ এই সময়ে অন্তত ২৫০টি নমুনা আসার কথা ছিল। বাজেট স্বল্পতার কারণে এমনটা হয়েছে।’

কৃষকেরা বলছেন, সপ্তাহে একাধিকবার সার কিনতে হয়। এর মধ্যে একটি চালানের সার ভেজাল হলে ফলন, ফসল, মাটি ও টাকা সব শেষ হয়ে যায়। যেহেতু সার নকল বের হয়েছে, সেহেতু সরকারের উচিত দ্রুত ভেজাল সার বিরোধী অভিযান শুরু করা।

সার বিক্রেতারা বলছেন, ভালো সার না পেলে কৃষকেরা সার কিনবে না। আগে ভেজাল সারের বিরুদ্ধে অভিযান চলত, এখন চলে না। বাজারে ভেজাল সার ভরে গেছে। সরকার বাজার মনিটরিং করলে আমাদের সবার লাভ।

ভেজাল সার নিয়ে কৃষক-ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন হলেও বরাদ্দের অভাবে পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ওসমান বলেন, সার পরীক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্দিষ্ট পরিমাণে বাজেট পেতে দেরি হয়েছে, এজন্য নমুনা পরীক্ষা পিছিয়েছে। এই সুযোগে বাজারে যদি ভেজাল সার ঢুকে থাকে, তবে তা দ্রুত সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভেজাল প্রমাণিত সারের নিবন্ধন বাতিলসহ কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশালে প্রতি বছর ৩ লাখ ৬৮ হাজার ২০৪ মেট্রিক টন সারের ব্যবহার হয়। ৩৬২ জন সার ডিলার ও ২ হাজার ৫০৫ জন খুচরা সার বিক্রি করছেন।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *