বরিশাল অফিস :: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ধান ব্যবসায়ীরা দখল করায় ভোগান্তিতে পড়েছে যানচলাচলসহ পথচারীরা। এতে সৃষ্টি হয়েছে যানজট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
রোববার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্কুলের সামনের সড়ক দখল করে ধান ফড়িয়রা ব্যবসা করছে। উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের যৌতা গ্রামে ৬৯ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এপাশ ওপাশে শতাধিক বস্তা ধান রেখে উচু টিলা বানিয়ে রেখেছে তারা। এছাড়া উপজেলার আরজবেগী বাজারের দক্ষিণ পাশে সড়ক জুড়ে ধানের বস্তার স্তুপ।
উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের বড়গোপালদী বাজারের পুর্ব ও পশ্চিম পাশের সড়কজুড়ে ধানের বস্তা রাখা হয়েছে।
উপজেলার ঠাকুরের হাটে সড়ক জুরে ধানের বস্তা, তারপাশে দাঁড়িয়ে আছে ট্রাক এতে করে দেখা দিয়েছে যানজট। সড়কে ধানের বস্তা ও ট্রাক রাখায় রাস্তার এক-তৃতীয়াংশ দখল করে ধান বস্তা, ট্রাকে উঠানো এবং ভ্যানগাড়ী দিয়ে এনে নামানোর কাজ করছে দিনভর ধান ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও স্থানীয়রা জানান, শীতের সকালে ঘন কুয়াশা দশমিনা-পটুয়াখালী ও বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে লোকজন গুরুত্বপূর্ণ কাজে যায় এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করেন, রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স এবং মালামালবাহী, বড় ট্রাক, ঢাকাগামী বাসসহ যানবাহন আসা যাওয়া করে কিন্তু ধানের বস্তায় সড়কের বেশিরভাগ জায়গা দখল করায় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়, তাছাড়া মাঘ মাসের শীতে ঘন কুয়াশায় মধ্যরাত ও সূর্য উদয়ের পূর্বে যানচলাচলকারী গাড়ির আসা যাওয়াতে সময় ও জীবনের ঝুঁকি থাকে।
সদর ইউনিয়নের আরজবেগী বাজারের এলাকার বাসিন্দা মো.নাফিউল বলেন, এ বাজারের সন্ধ্যার পর এলাকার বিভিন্ন পেশার লোকজন এসে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা-বেঁচা করে। এ বাজারটি জুড়ে ধানের বস্তার স্তুপ। কেউ দেখার নেই মনে হচ্ছে ফড়িয়ারদের ধান ব্যবসা করার জন্য এই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এস্তুপের তলে শিশু ও বৃদ্ধরা যে কোনো সময় পড়ে যেতে পারে।
দশমিনা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান প্যাদা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়ক দখল করে রাখা হচ্ছে ধানের বস্তা দিয়ে। এতে করে রাস্তায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয় আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানাব।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিজা নাজ নীরা বলেন, আমি ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে অবগত করব, খোঁজ খবর নিয়ে ধান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।