বরিশাল অফিস :: বরিশাল বিভাগের বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২১ দশমিক আট শতাংশ জমিতে বোরো আবাদ সম্পন্ন করা হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় থেকে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এ বছর ২ লাখ ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে উফসি জাতের বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড জাত ৭৭ হাজার ৭ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ২ হাজার ৪২০ হেক্টরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এর মধ্যে রবিবার পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমির মধ্যে ২৩ হাজার ২৪০ হেক্টরে হাইব্রিড, ১৮ হাজার ৪৭৯ হেক্টরে উফসি ও ১ হাজার ৫১৭ হেক্টরে স্থানীয় জাত রয়েছে।
বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৯ ভাগ জমিতে আবাদ হয়েছে পিরোজপুর জেলায়। সর্বনিম্ন তিন দশমিক ৪০৫ ভাগ জমিতে আবাদ হয়েছে পটুয়াখালী জেলায়। এছাড়া ঝালকাঠি জেলায় ৩১ দশমিক ৬ ভাগ, বরিশাল জেলায় ২৫ দশমিক ২৭, বরগুনা জেলায় ৬ দশমিক ৯১৮ ও ভোলা জেলায় ৭ দশমিক ৬৩৫ ভাগ জমিতে আবাদ হয়েছে।
বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বরিশাল জেলায় বেশি বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ জেলায় ৬৩ হাজার ১৫০ হেক্টরে বোরো আবাদে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৯৫৭ হেক্টরে আবাদ হয়েছে।
এরপরে রয়েছে ভোলা জেলা। এ জেলায় ৬৩ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮১০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ হাজার ৭০ হেক্টরের মধ্যে ১৬ হাজার ৬৯৪ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। ঝালকাঠিতে ১৩ হাজার ৭৫০ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রার ৪ হাজার ৩৪৫ হেক্টরে আবাদ হয়েছে এবং পটুয়াখালীতে ২০ হাজার ৫৬০ হেক্টরের মধ্যে ৭০০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। এছাড়া বরগুনার ১০ হাজার ৫৫২ হেক্টরের মধ্যে ৭৩০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে।
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিনয় ভুষন মন্ডল বলেন, সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে বরিশালে বোরো আবাদ শুরু হয়। ১৫ মার্চ পর্যন্ত আবাদ চলবে।
রবিবার পর্যন্ত যা চাষাবাদ হয়েছে তা সন্তোষজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শীত, কুয়াশা ও বৃষ্টিতে বোরো চাষিদের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে। শীতের হাত থেকে বোরো বীজ রক্ষায় পলিথিন কিনতে হচ্ছে। এছাড়া ছত্রাকের হাত থেকে রক্ষায় ওষুধ দেওয়া ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। এতে কৃষকদের বাড়তি ব্যয় গুণতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকদের বর্তমানে একটু সচেতন থাকতে হবে। আবাদ করা বোরো বীজে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও গোড়া পচন থেকে রক্ষায় ক্ষেতে পানি থাকলে অপসারণ করতে হবে।’