বরিশাল অফিস :: পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বরিশালে বাড়ছে একের পড় এক অবৈধ ইটভাটা। এমনকি কয়লা ব্যবহার করে ইট পোড়ানোর কথা থাকলেও নামেমাত্র কয়লা রেখে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ । যাতে উজাড় হচ্ছে বরিশালের বনাঞ্চল। এতে যেমন ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের, তেমনি প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্র্যে উপর। অভিযোগ উঠেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এসব ইটভাটা চলছে। তবে তাদের দাবী জনবসংকট ও ম্যাজিস্ট্রেট সংকটে অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৪৯৫টি। আর অনিবন্ধিত ইটভাটা রয়েছে ২৩০টি। এই তথ্য নিবন্ধনের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। তবে যারা আবেদন করেনি তারা অবৈধভাবে ইটভাটা চালালেও অবৈধ তালিকায়ও তাদের নাম নেই।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নে আগে ১২টি ইটভাটা থাকলেও ২০২৪ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২৫টিতে। খান ব্রিকসে সেখানে প্রকাশ্যেই পোড়ানো হয় কাঠ ও ড্রাম চুঙ্গির মাধ্যমে ইট পুরানো হচ্ছে যা পরিবেশে জন্য মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
ইটভাটা মালিক কবির হাওলাদার জানান ,পরিবেশ অধিদপ্তরকে টাকা দিলে বৈধ এবং অবৈধর পার্থক্য থাকে না। যারা ঠিকভাবে টাকা দেয় না, তাদেরকে ইটভাটা বন্ধের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরে যোগাযোগ করলেই আবার সব ঠিক হয়ে যায়।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) বরিশাল জেলার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট লিংকন বাইন বলেন, ‘কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির কারণে বন উজাড় হচ্ছে। ফসলি জমি, গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশ মারাত্মভাবে হুমকির মুখে পড়ছে। কিন্তু ছাড়াপত্র দেওয়ার পরে তদারকির যে দায়িত্ব রয়েছে সেটা সঠিকভাবে পালন করছে না পরিবেশ দপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ, এইচ, এম, রাসেদ বলেন,’ আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট সংকটে কারণে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের কাছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে পাওয়া যায় না। তাই আমরা বিভিন্ন সময় হেড অফিস থেকে ম্যাজিস্ট্রেট এনে অভিযান পরিচালনা করছি। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার।