মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নকে আকড়ে রেখেছে আন্ধারমানিক, সোনাতলা ও শিববাড়িয়া নদী। স্রোতের গতি বদলে যাবার কারণে নদীগুলোতে গভীরতা কমে অনেক ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। নাব্যতা হারিয়ে এখন প্রাণ সংকটে এই নদীগুলো। এছাড়া নদীর উপর নির্ভরশীল জেলেরা বিপাকে পড়েছে। নদীগুলো খননে উদ্যোগ নেবার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
কলাপাড়া উপজেলার পায়রাবন্দর থেকে মহিপুর – কুয়াকাটা পর্যন্ত ইউনিয়গুলো আন্ধারমানিক, সোনাতলা ও শিববাড়িয়া নদীর তীর ঘেষে।
একসময় নদীগুলো দিয়ে সহজেই নৌযান চলাচল করতো। নদীর দুপাড়ের মানুষ মাছ ধরে স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতো।
২৫ বছর আগেও নদীগুলোর সর্বমোট দৈর্ঘ ছিল প্রায় ৬০ কিলোমিটার, প্রস্থ ছিল ১০০ মিটার। বর্তমানে দৈর্ঘ – প্রস্থ ও গভীরতা কমে যাওয়ায় নদীগুলোতে মাছের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
পায়রাবন্দর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত এলাকার উন্নয়নে নানা অবকাঠামো নির্মাণের ফলে এসকল নদী হুমকির মুখে পড়ছে। প্রকৃতিকে রক্ষার জন্য এ সব নদী সংরক্ষন জরুরি বলে জানালেন বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ ওয়াটার কিপার্স এর সমন্বয়ক শরীফ জামিল ।
আন্ধারমানিক, সোনাতলা ও শিববাড়িয়া নদী খননের পাশাপাশি অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানালেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম।