শিরোনাম

নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত দশমিনার চরাঞ্চলবাসী

Views: 43

 

মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নদীবেষ্টিত দীপ চরাঞ্চলে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা এখনো পৌঁছায়নি। চারদিকে নদী হওয়ায় এ উপজেলার উল্লেখযোগ্য বড় তিনটি চরে যেতে নদীপথ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। ২০ হাজারের অধিক মানুষের বসবাস উপজেলার চরবোরহান, চরশাহজালাল ও চরহাদিতে। সেখানে পৌঁছায়নি জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সব সুবিধা। প্রতিনিয়ত জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয় এ চরবাসীকে। রাস্তাঘাটেরও নেই তেমন উন্নতি। আবার প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য পরিমাণ পাকা রাস্তা থাকলেও নেই সেতু। হাতেগোনা কয়েকটি ছোট বাহন থাকলেও সেতুর অভাবে তা চালাতে হয় গণ্ডির ভেতর।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ পৌঁছলেও বাড়েনি চরবাসীর জীবন উন্নয়নের মান আর সচেতনতা। বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি। পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এখানকার শিশুরা। হাতেগোনা কয়েকটি বিদ্যালয় থাকলেও শিক্ষকরা নিয়মিত দিচ্ছেন না পাঠদান। অভিভাবকরাও সন্তানদের পড়াশোনা করাতে বিমুখ। বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসাসেবা থেকেও। অসুস্থদের দীর্ঘ নদী পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে নিতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা।

অন্যদিকে সীমানা বিরোধ নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার চরগুলোর বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা প্রায় নিত্যদিনের।

চরহাদির রাকিবুল নামে এক যুবক জানান, চরবাসী তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য তেমন গুরুত্ব দেন না। ছেলে একটু বড় হলে জেলে পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত করেন। চরহাদিসহ চরবোরহান ও চরশাহজালালে নেই চিকিৎসাসেবা, রাস্তাঘাট। এখানে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি পানি হলেই চরগুলো তলিয়ে যায়। অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে দিয়ে দেন।

চরবোরহান ইউপি চেয়ারম্যান নজির সরদার জানান, চরাঞ্চলে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি। শিক্ষার হার ১০ ভাগেরও কম। এখানের মানুষ সন্তানদের পড়াশোনা করাতে চান না। চিকিৎসার নেই কোনো ব্যবস্থা। নদীর পানি একটু বৃদ্ধি পেলেই তলিয়ে যায় চরবোরহান ও চরশাহজালাল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল কাইয়ূম বলেন, চরাঞ্চলবাসীর জীবনমান উন্নয়নে প্রশাসন কাজ করছে। বাল্যবিয়ে রোধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। চর হওয়ায় মানুষ কিছুটা নাগরিক সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *