চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং নিজ দেশ পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তী থেকে রাজনৈতিক নেতা বনে যাওয়া ইমরান খান বর্তমানে কারাগারে আছেন। রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০বছর সাজার রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত।
আর ৮ দিন পর, ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে পাকিস্তানে। রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসসহ বিভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইমরানের পক্ষে সেই নির্বাচনে প্রার্থিতা করা সম্ভব হচ্ছে না। ইমরানসহ দলের শীর্ষ নেতারা কারাগারে, নয়তো আত্মগোপনে থাকায় সীমাহীন চাপে রয়েছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফও।
অথচ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন জরিপের ফলাফল বলছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল পিটিআই এবং ইমরান খান দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইমরান খান এবং তার পিটিআইয়ের যে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে পাকিস্তানে, অন্য কোনো নেতা বা দল তার ধারে কাছেও নেই।
২০২৩ সালে জুন মাসে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেছিলেন, নিজের গোটা রাজনীতি ও ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কখনও কোনো অবৈধ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল না তার। আরও বলেছিলেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করছে এবং তার রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে চ্যুতির জন্যও সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছিলেন তিনি।
তবে পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬৫ বছর ধরে পাকিস্তানের ক্ষমতা কাঠামোর শীর্ষে রয়েছে সামরিক বাহিনী। বিভিন্ন সময় কখনও প্রকাশ্যে, কখনও বা পর্দার আড়ালে থেকে এই বাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে প্রভাব রেখে চলেছে এবং এখনও দেশটির বৃহত্তম অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
সূত্র : রয়টার্স, এনডিটিভি