মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী ; প্রায় ৫০ বছর ধরে রশিশিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ও লেবুখালী ইউনিয়নের ৫০টি পরিবার। কিন্তু পায়রা নদীর করাল গ্রাসের ভাঙনের ফলে জায়গা-জমি বিলীন হওয়ার কারণে রশিশিল্প বিলুপ্তির পথে।
হিন্দু পরিবারের লোকজন কিছু তাদের আত্মীয়স্বজনদের মাধ্যমে অন্যত্র জমিয়েছে বাকিরা রাস্তার পাশে ও অন্যের বাড়িতে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনার সময়ে ব্যবসায় ধস নামার কারণে অনেকেই রশিশিল্পের কাজ ছেড়ে দিয়ে দিনমজুরের কাজে চলে গেছেন বলে জানান স্থানীয় রাম ও সুধীর চন্দ্র।
রশিশিল্পের কাজে নিয়োজিত বজলু, হাকিম ও রাসেল বলেন, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের পরিবারসহ কিছু হিন্দু পরিবারের লোকজন একত্রিত হয়ে লেবুখালীর পশ্চিম আংগারিয়ায় এ ব্যবসা করে আসছিলাম। কিন্তু পায়রা নদীর করাল গ্রাসের ভাঙনের ফলে সম্পূর্ণ জায়গা-জমি বিলীন হওয়ার কারণে রশিশিল্প বিলুপ্তির পথে। দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা, পটুয়াখালী, আমতলী, পাথরঘাটা ও ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাস্টিক জাতীয় রশি তৈরি করে বিক্রি করত। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার চট ও পুরাতন জালের দাম বেশি হওয়ায় রশিশিল্পের কাজ থেকে অন্য কাজে যাওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে বলে জানান সেলিম মোল্লা।
অন্যদিকে রশিশিল্পে কর্মরত ১০টি পরিবার বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কাঁচামাল কিনে বিভিন্ন বাজারে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করছে। সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পেলে আগের মতো রশিশিল্পের ব্যবসা ত্বরান্বিত হবে বলেন জানান শাহ-আলম মোল্লা।
রশিশিল্পের ১০টি পরিবার সনাতন পদ্ধতিতে রশি তৈরি করে আসছে।
লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন বলেন, তাদেরকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে এবং সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা ইতিমধ্যে দিয়ে আসছি।