শিরোনাম

পটুয়াখালীর পিরতলা খালটি বিলীনের পথে

Views: 58

বরিশাল অফিস :: পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরকারি রেকর্ডিও খালটি এখন দখল-ভরাট আর ময়লা ফেলায় আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ খালটি খনন ও পরিচ্ছন্নতার অভাবে ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে খালের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।

এ খালটির পাশেই উপজেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী পিরতলা বন্দর, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, সৃজনী বিদ্যানিকেতনের স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

সরেজমিন দেখা যায়, শহরের খালটি আর্বজনায় ভরা। কোথাও পানি জমে আছে আবার কোথাও ময়লার স্তুপ সৃষ্টি হয়েছে এবং কচুরিপানায় ভরে আছে। এ ছাড়া খালের পাড়ে অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কারণে মাটি ভরাটের ফলে খালের পানি প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।

পুনম কি আসলেই মারা গেছেন, নাকি প্রচারের কুশল?পুনম কি আসলেই মারা গেছেন, নাকি প্রচারের কুশল?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি পরিচ্ছন্নতার উদ্বোধন করা হয়। সে সময় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তার কয়েকদিন পরই রহস্যজনভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়।

পবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জানান, খালের দুর্গন্ধের কারণে তাদের যাতায়াতে সমস্যা হয়। সুস্থ পরিবেশের কথা চিন্তা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি তাদের।

সৃজনী বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল কুদ্দুস জানান, বর্ষা মৌসুমে ময়লার দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে ঢোকা কষ্টকর হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে গন্ধে টিকতে পারে না।

শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী মৃধা জানান, আগা-গোড়ায় স্লুইস গেটের কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ক্রমেই খালটি ভরাট হয়ে গেছে। পাশাপাশি অবৈধ দখলদাররাও যে যেমন পারছে ভরাট করে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়তন বৃদ্ধি করায় খালটি অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এ অবস্থার মধ্যে অসচেতন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষজন খালে নিয়মিত ময়লা আবর্জনা ফেলছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। সবকিছুই আমার অজানা। দ্রুত সময়ের মধ্যে খোঁজ-খবর জানার চেষ্টা করছি। সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *