শিরোনাম

লাঠিয়াল বাহিনী কাছে জিম্মি চরাঞ্চলের কৃষক

Views: 44

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): সরকারের দেওয়া বন্দোবস্ত জমিতে আবাদ করতে গিয়ে লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে জুলুম-নির্যাতন ও খুন-খারাবির শিকার হচ্ছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উত্তর চরবিশ্বাসের শত শত কৃষক পরিবার।

গত ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট মুজিবনগরের লাঠিয়াল বাহিনীর হামলায় খুন হন কৃষক কাশেম মৃধা। আহত হন শতাধিক।

পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার আন্তঃসীমানা দ্বন্দ্বের ঘটনায় তিন-চার দশক ধরে চলছে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সীমানা জটিলতার এ দ্বন্দ্ব মেটাতে ভূমি মন্ত্রণালয়, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং ভূমি অফিসে চিঠি চালাচালিসহ থানা পুলিশ এবং স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হলেও প্রতিকারের বদলে আর্থিক খেসারতসহ নানাভাবে হয়রানি হচ্ছে চরের এ পরিবারগুলো।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে কৃষিজমি বন্দোবস্ত দেওয়া হলেও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট মুজিবনগরের লাঠিয়াল বাহিনী ওই জমি গায়ের জোরে দখলে নিয়ে আবাদ করে। এসব দখলবাজির নেতৃত্ব দেন মুজিবনগরের সাবেক ইউপি সদস্য নাবীন বাতানসহ তার লোকজন।
সবশেষ পটুয়াখালীর উত্তর চরবিশ্বাসের কৃষক পরিবারের ওপর ভোলার চরফ্যাশনের লোকজন জুলুম-নির্যাতন না করার শর্তে কাশেম মৃধা খুনের মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা ভঙ্গ করে চরফ্যাশনের লোকজন তাদের জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এসব অভিযোগ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের কাছে গেলে আইনের নানা ফাঁকফোকর দেখিয়ে তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত আনোয়ার হোসেন, মান্নান খান, আনিস খান, আসিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম, রাহিমা বেগম, করিম দেওয়ান, আদম আলী দেওয়ান, ফজিলাতুনেচ্ছা, জয়নাল দেওয়ান, ফারুক দেওয়ান, কাশেম ফকির, আনোয়ার সরদার, জলিল ফকিরসহ অসংখ্য ভুক্তভোগী বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হলে আদালতের নির্দেশে বিরোধীয় জমির উৎপাদিত ফসল রক্ষণাবেক্ষণে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়। অথচ আদালতের আইন ভঙ্গ করে তারা গায়ের জোরে সব ফসল নিয়ে যায়।

ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, উল্লিখিত জমি নিয়ে আদালতে মামলা আছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

অভিযুক্ত নবীন বাতান বলেন, ‘ভোলার জমি পটুয়াখালী থেকে বন্দোবস্ত হওয়ায় আমরা সে জমি দাবি করছি। জরিপে তা প্রমাণিত, অথচ উত্তর চরবিশ্বাসের লোকজন তা না মেনে জমি দাবি করছেন। আমার কোনো বাহিনী নেই এবং কাউকে মারধরের বিষয়টিও সত্য নয়।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *