বরিশাল অফিস :: উজ্জ্বল অধিকারী (২২) হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানাধীন পাখিমারা এলাকায় ওই আসামি র্যাবের হাতে ধরা পড়েন।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৮ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গ্রেফতার হওয়া আসামির নাম উত্তম অধিকারী (৩৫)। তিনি উপজেলার বেতমোড় ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামের অনীল অধিকারীর ছেলে। এর আগে গত রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) নিহতের বড় ভাই সজল অধিকারী (২৫) বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি ছিলেন উত্তম।
স্থানীয়রা বলেন, নিহত উজ্জ্বল অধিকারী (২২) উপজেলার বেতমোড় ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামের গৌতম অধিকারীর ছেলে। উপজেলার বেতমোড় রাজপাড়া গ্রামের কৃষক সুধীর অধিকারীর সঙ্গে প্রতিবেশী ননী গোপাল অধিকারীর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জেরে হওয়া হামলায় উজ্জ্বল অধিকারী নিহত হন।
এ বিষয়ে র্যাব-৮ জানায়, গতকাল রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি উত্তম অধিকারীকে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানাধীন পাখিমারা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (০১ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহতের পিতা তাদের নিজ বসতঘরের পাশের ভোগদখলীয় জমিতে থাকা একটি তেতুল গাছ থেকে কিছু পাকা তেতুল পাড়া শুরু করেন। এ সময় প্রতিপক্ষ উত্তম অধিকারীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়ে। এক পর্যায়ে উত্তম অধিকারী ও তার লোকজন মিলে নিহতের পিতাকে মারধর করেন। এ ঘটনার বিষয়ে তার দুই ছেলে জানতে গেলে তাদের ওপরও প্রতিপক্ষের লোকেরা হামলা করে। এ সময় উজ্জ্বল অধিকারী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত তিন পিতা-পুত্রকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উজ্জ্বলকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বরিশাল মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ভাই মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ ননী গোপাল অধিকারী ও তার ছেলে নিরব অধিকারীকে গ্রেফতার করেছে। তবে র্যাবের হাতে একজন আটক হয়েছেন বলে শুনেছি।