বরিশাল অফিস :: ৫৭ সেকেন্ডে ৫৪ সেন্টিসেকেন্ডে সবচেয়ে বেশিবার বাংলা গানে হুইসেল বিভিন্ন সুরে বাজিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন ঝালকাঠির ছেলে কুমার কাকন উজ্জ্বল।
হুইসেল ক্যাটাগরিতে পুরো বিশ্বে তিনিই প্রথম ‘লংগেস্ট টাইম টু হুইসেল’ টাইটেলে রেকর্ডটি অর্জন করেছেন। কাকন ঝালকাঠি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ঝালকাঠি পৌরসভার একজন কর্মকর্তা এবং তার মা একজন আইনজীবী। এক ভাই এক বোনের মাঝে তিনিই বড়।
কাকন বলেন হুইসেল নিয়ে পথচলা শুরু হয় ২০১৮ সালে। যখন দেখছি মানুষ এটাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করছে, পছন্দ করছে, তখনই এটা নিয়ে স্বপ্নটা বড় হতে থাকে। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল হুইসেলের মাধ্যমে বাংলা গানকে পুরো বিশ্বের কাছে কিভাবে তুলে ধরা যায়। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই আমি মিউজিকের সাথে যুক্ত ছিলাম, তাই হুইসেল আমার আয়ত্ত করতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। শুধু নিয়মিতভাবে প্র্যাকটিস করেছি।
এখন আমি যেকোনো গান শুনে সাথে সাথে সেই গানের হুইসেল বাজাতে পারি। সবথেকে বেশি ভালো লাগছে নিজের বাংলা ভাষার গানকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পেরে এবং সেই বাংলা গানে হুইসেল বাজিয়ে এটির বিশ্ব রেকর্ড করতে পেরে। ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর থেকে আবেদন করেন কাকন। ১৪ ডিসেম্বর ভিডিও পাঠানোর পরে ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি তা গৃহীত হয়। ঐ বছরের মার্চ মাসেই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পান বাংলাদেশি এ তরুণ। কাকন ভারত সরকারের অধীনে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের জেইন ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োকেমিস্ট্রি জেনেটিক্স এন্ড বায়োটেকনোলজি সাবজেক্টে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন।
নিজের এমন রেকর্ডে উচ্ছ্বসিত কাকন বলেন, ‘যে কোন কাজে লেগে থাকতে হয়।
আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রম মানুষকে সফল করতে পারে। অনেক চেষ্টার ফলে অবশেষে পেরেছি। পড়ালেখার পাশাপাশি তার এমন রেকর্ডে খুশি পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী।’