মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীতে বিধিবহির্ভূত নিয়োগ, স্বেচ্ছাচারিতা, সহকর্মী শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকায় দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আহসানুল হক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. এবাদুল হকের বেতন-ভাতা স্থগিত করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গত জানুয়ারি মাসের এমপিওতে কলেজটির সব শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা ছাড় করলেও অধ্যক্ষ আহসানুল হক ও প্রভাষক এবাদুল হকের বেতন-ভাতা স্থগিত করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা দপ্তর বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ওই কলেজের অধ্যক্ষ আহসানুল হকের নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, জাল-জালিয়াতি ও নারী কেলেংকারির অভিযোগের প্রমাণ মেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর তার বেতন-ভাতা স্থগিত করেছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও অধিভুক্ত কলেজগুলোর পরিদর্শক সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত টিম সরেজমিন পরিদর্শন করে।
তদন্তকালে অধ্যক্ষ আহসানুল হকের নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র, কলেজের গভর্নিং বডি গঠন কার্যক্রমের নথি পর্যালোচনা, অভিযোগকারী অভিভাবক সদস্য, সাময়িক বরখাস্তের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের লিখিত বক্তব্যে অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত টিম।
একই সঙ্গে ওই প্রতিবেদনে কলেজটির ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. এবাদুল হকের নিয়োগের বৈধতা না থাকায় তার বেতন-ভাতা বন্ধেরও সুপারিশ করা হয়।