বরিশাল অফিস :: নিজের মেধা আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে কৃষি কাজ সফলতা পেয়েছেন বরিশাল নগরীর কাশিপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিন লিটু। মৌসুমী সবজি, ফল ও ফুলের চাষ করে সাবলম্বি হয়ে উঠেছেন তিনি।
গিয়াস উদ্দিন লিটু নগরীর ২৭নং ওয়াডস্থ কাশিপুরের করঞ্জা গ্রামের মৃত হাসেম আলী সরদারের ছেলে। তিনি পল্লিবিদ্যুতে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি কৃষি কাজ শুরু করেন। কৃষি কাজ লাভজনক হওয়ায় চাকরি ছেড়ে দেন তিনি মনোযোগী হন কৃষি কাজে। অবশেষে একজন সফল চাষি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হন লিটু।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়- নিজ জমিতে সেচের কাজ করছে লিটু। কৃষি কাজে তাকে সহায়তা করে আসছেন তার স্ত্রী ও ছেলেরা। তার বাগানে উল্লেখযোগ্য সবজি হচ্ছে, টমেটো, হাইব্রিট শালগম, বাধাকপি, ফুলকপি, শিম চাষ করেন। ফলের মধ্যে রয়েছে আমের বাগান।
লিটু জানান- প্রায় ৮-১০ বছর ধরে কৃষি কাজ করছেন তিনি। নিজের জমিতেই গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন রকম ফল ও সবজির বাগান। এ সকল সবজি ফলাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক পরিবেশে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে তিনি চাষবাদ করেছেন। তার জমিতে কোন রকম কীটনাশক ব্যবহার করা হয়না। ফলে একদম দেশীয় স্বাদে ক্রেতারা সবজি কিনে খেতে পারছেন। প্রায় এক একর জমিতে এ সকল ফসল ফলানো হয়। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে এবার ফসল বিক্রি করে আসতে পারে ১ লাখ টাকা।
গিয়াসউদ্দিন লিটু আরও বলেন- সম্পূর্ণ অর্গানিক প্রদ্ধতিতে হাইব্রিট সবজির চাষ করি। যে কারণে উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়। আর বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারি। চাকরি বাদ দিয়ে হালাল উপায়ে ভালো উপার্জন করা যায়। এতে অনেক লাভবান হওয়া যায়। আমি সরকারি সকল সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে থাকি। কৃষি সম্প্রসারন থেকে সবজির বীজ, সারসহ সকল ধরনের তথ্য পেয়ে থাকি।
এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মুরাদুল হাসান বলেন, কৃষক কৃষি ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক ঘোষিত যে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তা দেয়া হবে। বর্তমানে কৃষকদের পারিবারিক ভাবে স্বর্নিভর করতে ও দেশের কৃষিজাত পণ্যের সার্বিক উন্নয়নে সকল প্রকার সহায়তা করতে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।