শিরোনাম

ব্রাজিলকে হারিয়ে অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা

Views: 54

চন্দ্রদীপ ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটায় বাকি তখন মাত্র ২২ মিনিট। গত ৭৮ মিনিট ব্রাজিল যেভাবে রক্ষণ ধরে রেখে খেলেছে, তেমন থাকলে অলিম্পিকে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকবে তারা। ওদিকে আর্জেন্টিনার শিবিরে তখন গভীর উদ্বেগ। অলিম্পিকে বাছাই করলে লিওনেল মেসি এবং অ্যানহেল ডি মারিয়াকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করবে তারা। কিন্তু ব্রাজিলের বিপক্ষে জয় না পেলে হবে না কিছুই।

এমন এক সময়েই ডিবক্সের অনেকটা বাইরে থেকে নিরীহদর্শন এক মাপা ক্রস করলেন ব্রাইটনে খেলা আর্জেন্টাইন তরুণ ভ্যালেন্টিন বার্কো। অনেকটা দৌড়ে এসে তাতে মাথা ছোঁয়ালেন দীর্ঘদেহী ফরোয়ার্ড লুসিয়ানো গুন্দো। তাতেই ভাঙলো ব্রাজিলের রক্ষণ। ৭৮ মিনিটের গোলটাই আর্জেন্টিনাকে এনে দেয় প্যারিস অলিম্পিকের টিকিট। আর দারুণ শুরুর পরেও বাদ যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়েই আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টাইন তরুণরা। ১৫ মিনিটেই গোল পেতে পারত তারা। অধিনায়ক থিয়াগো আলমাদার দুর্দান্ত ফ্রি-কিক গোলবারে লেগে ফিরে এলে হতাশ হতে হয় আর্জেন্টিনাকে। এর আগ পর্যন্ত কোনো সুযোগই করা হয়নি ব্রাজিলের। ১৮ মিনিটে তারা প্রথম শট নেয় গোলমুখে। যদিও সেটা ছিল না টার্গেটে।

ব্রাজিল ম্যাচের সেরা সুযোগ পেয়েছে ৬০ এবং ৬২ মিনিটে। প্রথম গ্যাব্রিয়েল পেককে হতাশ করেছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক ব্রেই। দুর্দান্ত সেভে সুরক্ষিত রাখেন আর্জেন্টিনার অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন। মিনিট দুয়েক পরেই জন কেনেডিকেও হতাশ করেন তিনি।

তবে ম্যাচে আধিপত্য ছিল আর্জেন্টিনারই। হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোর আর্জেন্টিনা বল দখলে রাখে ৬১ শতাংশ এবং শট নেয় ১৪টি। ধারাবাহিকতার সুবাদেই ৭৮ মিনিটে পেয়ে যায় মহামূল্যবান সেই গোল। তাতেই বাদ পড়েছে অলিম্পিকের বর্তমান স্বর্ণপদক পাওয়া দলটি। ২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকে সোনা জিতেছিল ব্রাজিল।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *