চন্দ্রদীপ নিউজ: প্রতিবছর বিশ্বে অন্তত চার লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। উন্নত দেশগুলোতে ক্যান্সার থেকে রোগীর সুস্থ হওয়ার হার প্রায় ৮০ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশে এ হার প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে যথাসময়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে এবং উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী ভালো হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতার অভাব, মাত্রাতিরিক্ত চিকিৎসার ব্যয়, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের অভাবসহ নানা কারণে বেশির ভাগ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু মারা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে আজ বৃহস্পতিবার পালন করা হচ্ছে ‘বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস’। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসায় শিশু ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব’।
শিশুদের ক্যান্সার কেন হয়
বিএসএমএমইউয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ টি এম আতিকুর রহমান বলেন, ক্যান্সারের মূল কারণ অনেক ক্ষেত্রে অজানা। তবে জিনগত কারণে অনেক শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, শব্দদূষণ, খাদ্যে ভেজাল, অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার ও ক্ষতিকর রশ্মি বা বিকিরণের সংস্পর্শে আসাটা অন্যতম। এ ছাড়া অধিক মাত্রায় অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও উন্নয়ন শিশুদের শরীরে ক্যান্সারের জন্ম দিচ্ছে। তাই সুস্থ ও ক্যান্সারমুক্ত প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব নগরায়ণকে প্রাধান্য দিতে হবে।
শিশুর ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো
শিশুদের ক্যান্সার আক্রান্তের প্রাথমিক উপর্সগের মধ্যে রয়েছে ঘন ঘন জ্বর হওয়া, শরীরের কোনো অঙ্গ থেকে রক্তপাত হওয়া; যেমন—দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া, চামড়ার নিচে রক্তপাত, কান দিয়ে রক্ত আসা, চোখের নিচে রক্ত আসা, গায়ে কালো কালো দাগ। এগুলো হলো সাধারণ রক্তের ক্যান্সারের উপসর্গ। এ ছাড়া শিশুকে ফ্যাকাসে মনে হলে, যদি কোনো কারণ ছাড়াই বারবার সর্দি-কাশি-জ্বর হয়, শরীরে কোনো অঙ্গ হঠাৎ ফুলে যায়, পেটে চাকা হওয়া বা খিঁচুনি হওয়া বা হাঁটতে না পারা।
শিশুদের মধ্যে এসব উপসর্গ থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।