মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): মির্জাগঞ্জে এতিমখানা ও শিশু সদনে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভুয়া এতিম ও অসহায় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে।
সবচেয়ে বড় অনিয়ম দেখা গেছে মাজার কেন্দ্রিক এতিমখানা গুলোতে। তারা একদিকে এতিম খানার নামে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করে অন্য দিকে ভুয়া তালিকা দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে থাকে।
এ ছাড়াও অধিকাংশ শিশু সদনে স্টোক রেজিস্ট্রার, বিল ক্যাশ খাতা, ভাউচারের রেজুলেশন, ভর্তি রেজুলেশন, মেচ কমিটি ও ভাউচারের সঙ্গে মিল রেখে ব্যাংক স্টেটমেন্ট কিছুই নাই। যা বিল উত্তোলনের জন্য একান্তই প্রয়োজন।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, সম্পাদক ও উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরকে ম্যানেজ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ছাড়াই উত্তোলন করছে সরকারি বরাদ্দ।
জানা যায়, মির্জাগঞ্জে সরকারের তালিকাভুক্ত ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টপ্রাপ্ত মোট ১১টি এতিমখানা রয়েছে। যার মধ্যে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট বরাদ্দের আওতায় এতিম দেখানো হয়েছে ১৭৮ জন। ক্যাপিটেশন বরাদ্দের অনুকূলে এতিমখানার ৬-১৮ বছর বয়সী এতিম ৫০ শতাংশ বরাদ্দের আওতায় আসবে। একজন এতিমকে মাসে দুই হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
বছরে দুইবারে মোট ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে।