শিরোনাম

কলেজ ছাত্র প্রীতম পাল আবিষ্কার করে কৃত্রিম হাত

Views: 78

বরিশাল অফিস :: বাবার কাছ থেকে আনা পড়াশুনার জন্য খরচের টাকা থেকে কিছু টাকা সেইফ করে করে সে টাকাদিয়ে প্রথমে হাত বানানোর কাজ শুরু করি। বিষটি আমার বাবা জানতে পারেন। তিনি আমাকে উৎসাহিত করেন। আমার সঞ্চয় ও বাবা দেয়া টাকা দিয়ে বিভিন্ন দূর্ঘটনায় সারাদেশসহ সারাবিশে^ অনেক লোক তাদের হাত হারাচ্ছেন তাদের কথা চিন্তা করে এই রোবটিক আর্ম মানব কল্যাণে জন্য তৈরি করি। এই কথাগুলো বলেন বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের শিহিপাশা গ্রামের ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল।

সে উপজেলার শিহিপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গৌতম পাল ও গৃহিনী কাজলী পালের ছেলে। প্রীতম পাল গৈলা মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো। বর্তমানে সে বরিশাল নগরীর অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণী বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানগেছে, ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল হাত হারানো মানুষের জন্য রোবটিক আর্ম বা মানবদেহে সংযোজনের জন্য কৃত্রিম হাতের আবিষ্কার করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে হাত হারানো ধনাঢ্য ব্যক্তিরা বিদেশ থেকে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে কৃত্রিম হাত আমদানি করে তার সংযোজন করছেন। তবে ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতমের উদ্ভাবিত কৃত্রিম হাত তৈরীতে খরচ হয়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকা।

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়ন তথা মানবদেহে কৃত্রিম হাত সংযোজনের মাধ্যমে একজন মানুষকে স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার জন্য রোবটিক আর্মের যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারজাত করণে আগ্রহী ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পালের। এ উদ্ভাবন নিয়ে আরও কাজ করতে প্রয়োজন সরকারি ও  বেসরকারি পৃষ্টপোষকতা।

প্রীতমের বাবা ইউপি সচিব গৌতম পাল জানান, তার ছেলের উদ্ভাবন নিয়ে তিনি আনন্দিত। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা পেলে পড়াশুনার পাশাপাশি  আমার ছেলে প্রীতম তার উদ্ভাবনীতে আরও সাফল্য পাবে বলে আমি আশা করি। আমি ছোট একটি চাকুরি করি আমার আজদিয়ে সংসার চালিয়ে ছেলে আবিস্কারে জন্য টাকা দিতে পরছিনা। সে সরকারি পিষ্ঠপোসকতা পেলে আরো ভালো কিছিু আবিষ্কার করতে পারবে। আর  এই আবিষ্কার দেশের মানুষের জন্য উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি।

গৈলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ক্ষুদে বিজ্ঞানী প্রীতম পাল স্কুলজিবনে আবিস্কারনিয়ে চিন্তাভাবনা চিলো। তার যেচিন্তা ভাবনা তা অনেক সূদুরপ্রসারিত।

 

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রইচ সেরনিয়াবাত কালেরকন্ঠকে বলেন, গৈলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্র প্রীতম পাল সে এই ছোট্ট বয়সে তার চিন্তাচেতনা থেকে দূর্ঘটনায় হাত হারানো মানুষের কথাভেব সে যে হাত আবিষ্কার করেছে তা মানব কল্ল্যানে আসবে। প্রীতম পাল আগৈলঝাড়ার সন্তান এটা আমাদের গর্ব। সরকারে প্রতি আমার দাবি প্রীতম পাল এর এই আবিষ্কৃত হাত তৈরিতে সহযোগিতা করেন তাহলে সে আরো ভালোকিছু আবিষ্কার করতে পারবে যা মানুষের কল্ল্যানে আসবে।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *