শিরোনাম

আগৈলঝাড়ায় সন্ধ্যা নদী দখল

Views: 50

বরিশাল অফিস :: বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়ার খর¯্রােত সন্ধ্যা নদীর বাগধা নামক স্থানে ২০ দিনযাবত পৃথক পৃথক ভাবে বালু ফেলে নদী ভরাট করে দখল করছে বাগধা বাজারে এক ওষুধ ব্যবসায়ী এমদাদুল হক তালুকদার, ওলিউর রহমান ভাট্টি, প্রবাসী জব্বার হাওলাদার ও আলী আকব্বর হাওলাদার। এতে সন্ধ্যা নদী সংকুচিত হয়ে নাব্যতা হারিয়েছে। দলকারীদের কারনের দখল হয়ে যায় নদীর জায়গা। নদী দখলের কারণে নদীর নাব্যতা হারিয়ে ক্রমে খালের পরিনত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা নামক স্থানের সন্ধ্যা নদীর পূর্বপাড় দখল করে বালু ভরাটকরে দখর করছে স্থানীয় আবদুল অজেদ ভাট্রির ছেলে ওলিউর রহমান ভাট্টি, বাগধা গ্রামের আবদুর রব তালুকদারের ছেলে বাগধা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী এমদাদুল হক তালুকদার। নদীর পশ্চিমপাড় বাগধা গ্রামের ছত্তার হাওলাদারের ছেলে প্রবাসী জব্বার হাওলাদার ও আলী আকব্বার হাওলাদার তারা পৃথক পৃথক স্থানে।

স্থানীয় রমেশ অধিকারী, বাদল তালুকদার, সৈয়দ রাকিব বলেন, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পয়সা গ্রামে আবুল শিকদারে ছেলে বালু ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন শিকদার সন্ধ্যা নদীর উপরে পয়সা নামক স্থানে সেতুর নিচে উত্তর পাশে নদীর পাড় দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসা করে আসছেন। সম্প্রতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন সরেজমিন গিয়ে সার্ভেয়ার ও তহলিদারদের দিয়ে নদীর সীমানা রিধারনকরে দেয়। নদীর জায়গা থেকে কাওছার শিকদারকে তার বালু সরিয়ে নিতে নিরদের্শ দেয়াহয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নির্দেশ অমান্যকরে এখন পর্যন্ত নদীর জায়গা থেকে বালু অপসারণ করেননি। তিনি স্থানীয় প্রভাবদেখিয়ে কাওছার তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যপারে কাওছার শিকদার বলেন, আমার জায়গার পার্সে পয়সা নামক স্থানে সন্ধ্যা নদীর উপরে নির্মিত সেতুর নিচে নদীর কিছু অংশ আমি দখল করে বালু ব্যবসা করছি এটাসত্য। প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস পূর্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলো বালু সরিয়েনিতে কিন্তু এখনও নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে নদী দখল করে বালু ভরাটকারী অভিযুক্ত এমদাদুল হক তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমি যেখানে বালু ভরাট করেছি সেইজায়গাটি আমি চাঁদত্রিশিরা গ্রামের আবদুর জব্বার ভাট্টি, ছালাম ভা্িট্টসহ ১২জনের কাছ থেকে ১৮শতাংশ জায়গা ক্রয় করি। ভরাট করা জায়গা সন্ধ্যা নদীর নয়। আমার ক্রয়কৃত জায়গা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওলিউর রহমান ভাট্রি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সন্ধ্যা নদীরপাড় বালুদিয়ে ভরাট করেছি এটা সত্যকথা। নদীর ভীতর আমার জায়গা আমি ভরাট করছি। প্রবাসী জব্বার হাওলাদার ও আলী আকব্বর হাওলাদার বিদেশ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু তাদের মা আছিয়া বেগম বলেন, আমরা বাড়ীঘর করার জন্য নদী বালু দিয়ে ভরছি। সরকারি জায়গা দখল করা অপরাধ আমরা জানি। আমাদের জায়গা নাই তাই আমরা সরকারি জায়গা ভরাট করছি।

 

এব্যপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে ইমামা বানিন সাংবাদিকদের জানায়, আমার উপস্থীতিতে সার্ভেয়ার মাসুদ মিয়া ও তহশিলদার রবীন দাস গুপ্তকে নিয়ে পরিমাপ করে নদীর পাড় শিমানা নিরধারন করা হয়েছে। পয়সা নামক স্থানে সেতুর নিচে বালু ব্যবসায়ী কাওছার শিকদারকে তার বালু ১৫ দিনে মধ্যে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিনে সে এখনও তার বালু সরিয়ে নেয়নি। এখন আমরা নদীর পাড় সকল দখল দারদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নিবো।

এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যা নদী বালু দিয়ে ভরাট করে দখলদারদের বিরুদ্ধে আমার কঠোর ব্যবস্থানিবো। দখরদার যেইহোক না কেনো তাকে ছাড়দেয়া হবে না। আমরা অতিষিঘ্র উচ্ছেদ অভিজান করে অবৈধ দখলদারমুক্ত করনো

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *