শিরোনাম

ভোলায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে যুবক নিহত

Views: 49

বরিশাল অফিস :: ভোলার দৌলতখানে কিশোর গ্য়াংয়ের হাতে রাব্বি (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় মাহিদ নামের এক কিশোরের বাবাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই যুবকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে ভোলা ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

দৌলতখান থানার ডিউটি অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত রাব্বি দৌলতখান পৌরসভার মো. জামাল মাঝির ছেলে। তিনি পেশায় জেলে ছিলেন।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওইদিন বিকালে উপজেলার পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন কিশোর ক্রিকেট খেলছিল। তার মধ্যে রাব্বির ছোট ভাই রাজিবও ছিল। একপর্যায়ে খেলা নিয়ে রাজিব ও মাহিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

সন্ধ্যার পর চা খেতে উপজেলার সোনালী ব্যাংক এলাকায় যান রাব্বি। এ সময় তিনি শুনতে পান তার ছোট ভাই রাজিবের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা নিয়ে মাহিদসহ বেশ কয়েকজন কিশোরের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তখন রাব্বি মাহিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান।

মাহিদ রাব্বিকে জানায়, তার ছোট ভাই রাজিব ক্রিকেট খেলা নিয়ে তাকে ও তার দলের অন্যান্য কিশোরদের গালমন্দ করেছে। এতে তারা রাজিবের ওপর ক্ষুব্ধ। জানায়, তাকে যেখানে পাবে সেখানেই পেটাবে। এ কথা শুনে রাব্বি রেগে যায়। তখন মাহিদ তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। মারধরে রাব্বির মাথা প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে স্বজনরা রাতেই তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সকালের দিকে হাসপাতালটির দায়িত্বরত চিকিৎসক রাব্বিকে ঢাকা মেডিক্যাল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পথে দুপুরের দিকে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় রাব্বির মৃত্যু হয়।

থানার ডিউটি অফিসার সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি। রাব্বির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনের কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও এ ঘটনায় কিশোর মাহিদের বাবাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, রাব্বিকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তারা সবাই কিশোর। তাদের সবার বয়স ১৮ বছরের নিচে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *